পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৬৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোস্বামার সহিত বিচার V\9S বহিত বিভাগশূন্য এবং শরাববহিত যে পরব্রহ্ম তাহার রূপের কল্পনা উপাসকের হিতের নিমিত্তে কবিয়াছেন। কিন্তু ইহার কোন শব্দ হইতে চতুহু জাদি আকােব আপনি প্ৰতিপন্ন কবেন । বিশেষতঃ শ্লোকের অর্থ এই যে রূপ বাহিতেল রূপ কল্পনা সাধকে বা হিতে্যুব নিমিত্ত করিয়াছেন। আপনি বাখ্যা কবেন যে চতুর্দু জাদি ৰূপেৰ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রূপ কল্পনা কবিয়াছেন। অতএব যে সকল ব্যক্তি প্ৰথম অবধি আপনকাদের মতে প্ৰবিষ্ট হইয়া পক্ষপাতে মশ্ন না হইয়া 'থাকে তাহাবা এরূপ সৰ্ব্বপ্ৰকাব বিপরীত ব্যাখ্যাকে কর্ণেও স্থান দেয় না । বাস্তবিক যে যে বচনে দ্বিন্দুজ চতুর্দুজ শতভুজ। সহস্রভুজ ইত্যাদি রূপেতে ব্ৰহ্মারোপে ব্ৰহ্ম করিয়া কহি যাছেন সেই সকল বচনের Buu0 S BBSDD EBBD SSBBBDDSDD S BBBB YBBD SgB 0 KKDBB এই সিদ্ধান্ত করেন যে, সেই সকল আকার কল্পনা মাত্ৰ যাবৎ পৰ্য্যন্ত ব্ৰহ্ম জিজ্ঞাসা না তাম তাবৎ ঈশ্বলোদেশে ঐ কাল্পনিক রূপেৰ আরাধনা করিলে চিত্তশুদ্ধি হইয়া ব্ৰহ্মজি জ্ঞাসাব সম্ভাবনা হয়। কিন্তু ব্ৰহ্ম জিজ্ঞাসা হইলে পর কাল্পনিক রূপের উপাসনার প্রযোজন থাকে না যেহেতু সেই ব্যক্তি সকল বিশ্বের পুজ্য হয় । ছান্দোগ্য শ্রুতি । সর্বে অস্মৈ দেবা বলিমাহরান্তি । ব্ৰহ্মনিষ্টকে সকল দেবতাবা পূজা করেন । বৃহদারণ্যক । তস্য হ ন দেবীশচ নাভূত্যা ঈশতে। ব্রহ্মনিষ্ঠের বিস্ত্ৰ করিতে দেবতারা ও সমর্থ হয়েন না । আর যদ্যপি ও শ্ৰীভাগবত প্ৰভৃতি গ্রন্থে সাকারকে ব্ৰহ্মা করিয়া ভূরি স্থানে কহিয়াছেন বস্তুত পৰ্য্যবসানে অধ্যায়ু জ্ঞানকেষ্ট সৰ্ব্বত্র দৃঢ় করিযাছেন যেমন শ্ৰীভাগবতে ভগবান কৃষ্ণকে ব্ৰহ্মরূপে জ্ঞান করিতে কহিয়া পরে উপদেশ করিলেন যে কি কৃষ্ণকে কি তাবৎ চরাচরকে ব্ৰহ্মরূপে জ্ঞান করিবে অতএব আব্ৰহ্মাস্তম্ব পৰ্য্যন্তকে যে ব্যক্তি ব্ৰহ্মরূপে জ্ঞান করে সে কৃষ্ণের ব্ৰহ্মত্বে কেন বিপ্ৰতিপত্তি করিবেক । দশমাস্কন্ধের ৮৫ অধ্যায়ে বসুদেবের প্রতি কৃষ্ণের বাক্য। অহং যুম্নমসাবাৰ্য্য ইমে চ দ্বারকৌকসঃ।