পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*28 রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলী । ব্ৰহ্ম হইতে উৎপন্ন হইয়াছেন। তবে আনীত শব্দের অর্থ এই ৷ মহাপ্ৰলয়ে ব্ৰহ্ম উৎপন্ন হয়েন নাই। কিন্তু বিদ্যমান ছিলেন ৷৷ ৭ ৷ প্ৰাণ সাক্ষাৎ বায়ু হয়। কিম্বা বায়ু জন্য ইন্দ্ৰিয় ক্ৰিয়া হয় এই সন্দেহেতে কহিতেছেন ৷ ন বায়ুক্রিয়ে পৃথগুপদেশাৎ ৷৷ ৮ ৷৷ প্ৰাণ সাক্ষাৎ বায়ু নহে এবং বায়ু জন্য ইন্দ্ৰিয় ক্রিয়া নহে যেহেতু প্ৰাণকে বায়ু হাহতে বেদে পৃথক করিয়া কহিয়াছেন তবে পূৰ্ব্ব শ্রুতিতে যে কহিয়াছেন যে বায় সেই প্ৰাণ হয় সে কাৰ্য্য কারণের অভেদ রূপে কহিয়াছেন ৷ ৮ ৷ যদি কহ জীব আর প্রাণের ভেদ আছে। অতএব দেহ উভয়ের ব্যাপ্য হইয়া ব্যাকুল হইবেক এমত নহে ৷ চক্ষুদ্রান্দিবন্ত, তৎসত্যশিষ্ট্যাদি ভ্যঃ ৷ ৯ ৷ চক্ষুকৰ্ণাদের ন্যায় প্ৰাণে জীবের অধীন হয় যেহেতু চক্ষরাদির উপর। প্ৰাণের অধিকার জীবের সহকারে আছে পৃথক অধিকার নাই তাহার কারণ এই যে চক্ষুদ্রাদির ন্যায় প্ৰাণে ভৌতিক এবং অচেতন হয৷ ৯ ৷ চক্ষুরাদির সহিত প্ৰাণের তুল্যত কহ৷ উচিত নিতে যেহেতু চক্ষরাদির রূপাদি বিষয় আছে প্ৰাণের বিষস নাই তাহার উত্তর এই ৷ আকরণত্বাচ্চ ন দোষস্তথা হি শয়তি ॥ ১০ ৷৷ যদি কহ প্ৰাণ ইন্দ্ৰিয়ের ন্যায় জীবের করণ না হয় ইহা কহিলে দোষ হয় না যেহেতু প্ৰাণ জীবের করণ না হইয়াও দেহ ধারণরূপ বিষয় করিতেছে বেদোতেও এইরূপ দেখিতেছি ॥ ১০ ৷ পঞ্চবৃত্তিস্মনোবৎ ব্যপাদিশ্যতে ॥ ১১ ৷৷ প্ৰাণের পাচ বৃত্তি নিঃশ্বাস এক প্ৰশ্বাস দুই দেহ ক্রিয়া তিন উৎক্রমণ চারি সর্বাঙ্গে রসের চালন পাচ। মনের যেমন অনেক বৃত্তি সেইরূপ প্ৰাণেরো এই পাঁচ বৃত্তি বেদে কহিয়াছেন। অতএব প্রাণ ইন্দ্ৰিয়ের ন্যায় বিষয় যুক্ত হইল ॥ ১১ ৷ বেদে কতিয়াছেন জীব তিন লোকের সমান হয়েন জীবের সমান প্ৰাণ হয় ইহাতে বুঝা যায় প্রাণ মহান হয় এমত নহে। অণুশ্চ ॥১২৷৷ প্রাণ মুদ্র হয়েন যেহেতু প্ৰাণের উৎক্রমণ বেদে শ্রবণ আছে তবে পূর্ব শ্রীতিতে যে প্রাণকে মহান করিয়া কহিয়াছেন তাহারতাৎপৰ্য্য সামান্য বায়ু হয়৷ ১২ ৷