পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৬৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\\ጋ8bም রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলী । চ্যতে। বিশ্বস্মন তৎ প্রতীকে চ ব্ৰহ্মত্বং কল্প্যতে তথা৷ যেমন শরীরকে ও তাহার অঙ্গকে জীবের আরোপ করিয়া আত্ম শব্দে কহ যায়। সেইরূপ ব্ৰহ্মের অধ্যাসে তাবৎ বিশ্বকে ও বিশ্বের অঙ্গকে ব্ৰহ্মরূপে কল্পনা করিয়াছেন । অতএব এই সকল অবলোকনের পরে জ্ঞানবান লোক বিবেচনা করিবেন। যে মিথ্যাবাদী কে হয়। ৯ পৃষ্ঠে ১২ পংক্তিতে কবিতাকার লিখেন যে স্মাৰ্ত্ত ভট্টাচাৰ্য্যের দ্বেষ আমরা করিয়া থাকি। উত্তর । একথার অলীকত্ব প্ৰতিপন্ন করিবার জন্য বিজ্ঞ লোককে পুনঃ পুমঃ বিনয় পূর্বক নিবেদন করি যে “তঁহারা আমাদের প্রকাশিত তাবৎ পুস্তককে বিশেষরূপে অবলোকন করিয়া দেখেন যে স্মাৰ্ত্ত ভট্টাচাৰ্য্যের প্রতি কোনো স্থানে আমাদের দ্বেষ বাক্য আছে কি না। বরঞ্চ পুনঃ পুনঃ তাহারা দেখিতে পাইবেন যে স্মাৰ্ত্ত ভট্টাচাৰ্য্যের বাক্যকে প্রমাণ স্বীকার করিয়া অঁহার পূত বচন সকলকে ও তাহার কৃতী ব্যাখ্যাকে পুনঃ পুনঃ গৌবব পূৰ্ব্বক লিখিয়াছি গায়িত্রীর অর্থ বিবরণের ভূমিকায় ৪ পৃষ্ঠে আমরা লিখি “এবং সংগ্ৰহকার ভট্ট গুণবিষ্ণু ও স্মাৰ্ত্ত ভট্টাচাৰ্য্য গে ব্যাখ্যা কািরয়াছেন তাহা ও সংক্ষেপে লিখিতেছি” ৫ পৃষ্ঠের তিন পংক্তিতে লেখা যায় “অৰ্থ চিন্তার আবশ্যকতার প্রমাণ স্মাৰ্ত্ত ধৃত ব্যাস স্মৃতিঃ” ঐ পৃষ্ঠে১, ১১ পংক্তিতে লিখি “ইত্যাদি বচনের ব্যাখ্যাতে স্মাৰ্ত্ত ভট্টাচাৰ্য্য লিখেন” ঈশোপনিষদের ভূমিকার ২ পৃষ্ঠে ১৪ পংক্তিতে লিখি “প্ৰমাণ স্মাৰ্ত্ত ধৃত যমদগ্নির বচন” ৫ পৃষ্ঠের ১৬ পংক্তিতে “প্ৰমাণ স্মাৰ্ত্ত ধূত বিষ্ণুর বচন” এবং সহমরণ বিষয়ের দ্বিতীয় সম্বাদের দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় ১৬ পংক্তিতে স্মাৰ্ত্ত বাক্যকে প্রমাণ করিয়া লিখিয়াছি আর ৭ পৃষ্ঠে দশের পংক্তিতে পুনবায় স্মাৰ্ত্তের প্রমাণ লিখা গিয়াছে এবং ১২ পৃষ্ঠার ২৫ পংক্তিতে ও অন্য অন্য অনেক পুস্তকে তাহার প্রমাণ লিখা গিয়াছে তাহার 'অবলোকন করিবেন। স্মাৰ্ত্ত ভট্টাচাৰ্য্য যদ্যপিও নানাবিধ কৰ্ম্ম, ও সাকার উপাসনা বাহুল্যরূপে লিখিয়াছেন। কিন্তু সিদ্ধান্তে ওই সকলকে কাল্পনিক ও অজ্ঞানের