পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৬৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবিতাকারের সহিত বিচার। ৬৬৩ ৷ এই সকলকেই ব্ৰহ্ম জানিবে এমৎ নহে বরঞ্চ চরাচর জগৎকে ব্ৰহ্মরূপে জানিবে। মনুঃ। এবং যঃ সৰ্ব্বভুতেষু পশুত্যাত্মিানিমাত্মান স সর্বসমতামেতা ব্ৰহ্মাভোতি পরং পদং ৷ যে ব্যক্তি পূৰ্ব্বোক্ত প্রকারে সকল ভুক্তি আত্মাকে সমভাবে দেখে সে ব্যক্তি সর্বত্র সমান ভাব পাইয়া ব্ৰহ্ম প্ৰাপ্ত হয় । কিন্তু আপনাতে ইষ্টদেবতাতে ব্ৰহ্মেতে অভেদ ভাব আর অন্য বিশ্বেতে ভেদজ্ঞান কৃতাৰ্থ হইবার কারণ হয় ইহা কবিতাকারের নিজামত হইবেক তিন বস্তুতে অভেদ জ্ঞান আর অন্য সকল বস্তুতে ভেদ জ্ঞান থাকিতে জীব কৃতাৰ্থ হয়। ইহা কবিতাকার কোন শাস্ত্রের প্রমাণে লিখিয়াছেন তাহা তাহাকে লিখা উচিত ছিল যেহেতু কেবল দেবতাতে ব্ৰহ্ম বোধ করা ইহাও মুক্তিসাধন জ্ঞান নহে। কেনোপনিষৎ । যদি মন্যসে সুবেদেতি দভ্ৰমেবাপি ননং ত্বং বেথ ব্ৰহ্মণোরূপং । যদস্য ত্বং যদস্য দেবঘথনুমীমাংস্তিমেব তে মন্যে বিদিতং । গুরু শিষ্যকে কহিতেছেন। যদি তুমি আপন দেহ ইন্দ্ৰিয়ের অধিষ্ঠাতাকে ব্ৰহ্ম জানিয়া এমৎ কহ যে আমি সুন্দর রূপে ব্ৰহ্মকে জানিলাম। তবে তুমি ব্ৰহ্মস্বরূপের যৎকিঞ্চিৎ জানিলে আর যদি দেবতাতে পরিচ্ছিন্ন করিয়া ব্ৰহ্মকে জান তথাপি অল্প জানিলে। অতএব আমি বুঝি যে ব্ৰহ্ম এখনাে তােমার বিচাৰ্য হয়েন। ৫ পৃষ্ঠের ৫ পংক্তিতে এবং ঐ পুস্তকের গ স্থানে ২ কবিতাকার লিখেন যে যিনি সাকার তিনি নিরাকার ব্ৰহ্ম হয়েন। এ অত্যন্ত অশাস্ত্র এবং সর্বপ্রকারে যুক্তিবিরুদ্ধ। বেদান্তের ৩ অধ্যায়ে ২ পাদে ১১ সুত্ৰ । ন স্থানতোপি পরতোভয়লিঙ্গং সর্বত্র হি । পরমেশ্বরের উভয় লিঙ্গ অর্থাৎ সাকার এবং নিরাকার বস্তুত হইবার কি সম্ভাবনা উপাধি দ্বারাও ক্লোনমতে হইতে পারে না যেহেতু সর্বত্র বেদান্তে তাহার এক । অবস্থা এবং সর্বোপাধিগৃন্যত্ব করিয়া কহিয়াছেন এবং সর্বত্র এই নিয়ম হয়। যে আকারের ভাব এবং অভাব এক কালে এক বস্তুতে সম্ভব হইতে পারেনা। তে যািন্তরা তন্তু ক্ষ। ব্ৰহ্ম নােমরূপ হইতে ভিন্ন হয়েনি। দিব্যোহমূৰ্ক পুরুষঃ।