পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৬৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V-V) রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলী । নয়” “রোজা নমাজ” ইত্যাদি নানা প্ৰকার ব্যঙ্গ ও দুর্বাক্য কথনের দ্বারা গ্ৰন্থকে পরিপূর্ণ করিয়াছেন ইহাতে ঐ পাঠ কৰ্ত্তার চিত্তে সন্দেহ হইতে পারে যে সে বেদান্ত কেমন পরমার্থ শাস্ত্ৰ যাহার চন্ত্রিকাতে এই সকল ব্যঙ্গ বিদ্রুপ দুৰ্বাক্য লেখা দেখিতেছি, যে গ্রন্থের সংক্ষেপে চন্দ্ৰিক এই রূপ হয় তাহার মূল গ্ৰন্থ বা কি প্রকার হইবেক ? কিন্তু সেই ব্যক্তি যদি সুবোধ হয়েন তবে অবশ্যই বিবেচনা করিবেন যে প্ৰসিদ্ধ রূপে শুনা যায় বেদান্ত শাস্ত্রের উপদেশ এই যে কীট পৰ্যন্তকেও ঘূণা করিবেক না। কিন্তু এ বেদান্ত । চন্দ্ৰিকাতে তাহার বিপরীত দেখা যাইতেছে। অতএল তিনি বেদান্তে অশ্রদ্ধা না করিয়া চন্দ্ৰিকাতেই অপ্রামাণ্য করিবেন। আমারদিগের সম্বন্ধে যে ব্যঙ্গ বিদ্রািপ দুৰ্বাক্য ভট্টাচাৰ্য্য লিখিয়াছেন তাহার উত্তর না দিবার কারণ আদৌ। এই যে পরমাৰ্থ বিষয় বিচারে অসাধু ভাষা এবং দুর্বাক্য কথন সৰ্ব্বথা অযুক্ত হয়, দ্বিতীয়তঃ আমারদিগের এমত রীতিও নহে যে দুর্বাক্য কথন বলের দ্বারা লোকেতে জয়ি হই, অতএব ভট্টাচাৰ্য্যের দুর্বাক্যের উত্তর প্রদানে আমরা অপরাধি রহিলাম। বাজসনেয়সংহিতোপনিষদের ভাষা বিবরণের ভূমিকা প্রভৃতিতে আমরা যাহা যাহা লিখিয়াছি তাহাকে ভট্টাচাৰ্য্য আপনার বেদান্ত চন্দ্ৰিকার স্থানে স্থানে অঙ্গীকার করিয়া এবং ব্ৰহ্মকে এক ও বিশেষ রহিত বিশ্বাত্মা ও তঁাহার বিশেষ জ্ঞান নিৰ্বাণ যুক্তির প্রতি কারণ এবং ব্ৰহ্মাদি দুৰ্গতি ও যাবৎ নাম রূপ চরাচর কেবল ভ্ৰম মাত্ৰ কহিয়া এখন আপনার পূর্ব লিখিত বাক্যের বিরুদ্ধ এবং বেদান্তাদি সৰ্ব্ব শাস্ত্রের ও বেদসম্মত যুক্তির বিরুদ্ধ যাহা কেবল আপনারদিগের লৌকিক লাভের রক্ষার নিমিত্ত লিখিয়াছেন তাহার বিবরণ লিখিতেছি। ভট্টাচাৰ্য্য বেদান্তচন্দ্ৰিকাতে লিখেন যে পরমাত্মার দেহ আছে। পরমাত্মাকে দেহ বিশিষ্ট বলা প্রথমতঃ সকল বেদকে তুচ্ছ করা হয়। তাহার কারণ, এই। বেদান্ত সুত্ৰে স্পষ্ট কহিতেছেন।