পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৬৯৮

VS- * রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলী । নিকট ঘূত মিথ্যানহে কিন্তু তাহার কোন প্রয়োজন ঘুতেতে নাই এ নিমিত্ত সে ঘুতকে আপনি বিষয়ে বৃথা জানিয়া থাকে। “তুমি বা একাক্ষ না হও কেন, কাকের কি এক চক্ষুতে নির্বাহ হয় না ?” এপ্রশ্নের তাৎপৰ্য্য বুঝিতে পারিতেছি না, যাহা হউক ইহার উত্তরে ভট্টাচাৰ্য্যকে জিজ্ঞাসা করি যে আপনি রাজ সংক্রান্ত কৰ্ম্ম ত্যাগ কেন না করেন ? র্যাহারদিগের রাজ সংক্রান্ত কৰ্ম্ম নাই তাহারদিগের কি দিন পাত হয় না ? এ প্রশ্নের উত্তরে ভট্টাচাৰ্য্য যাহা কহিবেন তাহা আমারদিগেরও উত্তর হইবেক। যদি ভট্টাচাৰ্য্য ইহার উত্তরে কাহেন যে রাজ সংক্রান্ত কৰ্ম্মে *আমার উপকার আছে আমি কেন ত্যাগ করি তবে আমরাও কহিব যে দুই চক্ষুতে অধিক উপকার আছে। অতএব কেন তাহার মধ্যে এক চক্ষুকে नछे कझि । ভট্টাচাৰ্য্য লেখেন “যদি বল আমরা দেবতাত্মাই মানি না। তাহার বিগ্ৰহ ও তৎস্মারক প্ৰতিমার কথা কি ? শিরোনাস্তি শিরোব্যথা । ভাল পরমাত্মাতো মান তবে শাস্ত্ৰ দৃষ্টি দ্বারা তাহারই নানা মূৰ্ত্তি প্ৰতিমতে মনোযোগ করিয়া। তদুচিত ব্যাপার কর।” উত্তর, আমরা পরমাত্মা মানি কিন্তু তঁহার মূৰ্ত্তি শাস্ত্ৰতঃ এবং যুক্তিতঃ অপ্ৰসিদ্ধ জন্য তাহা স্বীকার করি না। ইহার বিবরণ পূর্বে লিখিয়াছি অতএব পুনরুক্তির প্রয়োজন নাই। বেদান্তচন্দ্ৰিকাতে লেখেন যে “স্বাত্মার (জীবাত্মার ) প্ৰকৃত্যাদি চতুর্বিংশতি তত্ত্ব সর্বানুভব সিদ্ধ যদি মান তবে পরমাত্মারও তাহ অনুমানে মান। আত্মার ( জীবাত্মার) ও পরমাত্মার রাজা মহারাজার ন্যায় ব্যাপ্য ব্যাপকত্ব ঐশ্বৰ্য্যানৈশ্বৰ্য্য কৃত বিশেষ ব্যতিরেকে স্বরূপ গত বিশেষ কি ?” উত্তর, ভট্টাচাৰ্য্য জীবাত্মাকে ব্যাপ্য ও অনীশ্বর এবং পরমাত্মাকে ব্যাপক ও ঈশ্বর কহিয়া পুনৰ্বার কহিতেছেন যে এ দুইয়ের স্বরূপ গত বিশেষ কি ? ঈশ্বর অঙ্গর ব্যাপক হওয়া এবং অনীশ্বর আর ব্যাপ্য হওয়া ইহা হইতে অধিক