ভট্টাচাৰ্য্যের সহিত বিচার। ዓreዓ যদি শাস্ত্রানুসারে দেব বিগ্রহের উপাসনা কৰ্ত্তব্য হয় তবে ঐ শাস্ত্রানুসারেই বুদ্ধিমান ব্যক্তির পরমাত্মার উপাসনা সৰ্ব্বতোভাবে কৰ্ত্তব্য, কারণ শাস্ত্ৰে কহিয়াছেন যে যাহার বিশেষ বোধাধিকার এবং ব্ৰহ্ম জিজ্ঞাসা নাই সেই ব্যক্তিই কেবল চিত্ত স্থিরের জন্য কাল্পনিক রূপের উপাসনা করিৱেক আর যিনি বুদ্ধিমান ব্যক্তি তিনি আত্মার শ্রবণ মনন রূপ উপাসনা করিবেন, শাস্ত্ৰ মানিলে সর্বত্ৰ মানিতে হয় !
- এবগুণানুসারেণ রূপাণি বিবিধানি চ |
কল্পিতানি হিতার্থায় ভক্তনামিল্লমেধসাং ৷ মহানিৰ্বাণং। এইৰূপ গুণের অনুসারে নানা প্রকার রূপ অল্পবুদ্ধি ভক্তদিগের হিত্যের' নিমিত্তে কল্পনা করা গিয়াছে ৷ ধনুগৃহীক্ষ্মেীপনিষদংমহাত্মং শরং হ্যুপাসানিশিতাং সন্ধয়ীত। আযম্য তদ্মাবগতেন চেতসা লক্ষ্যং তদেবাক্ষরং সৌম্য বিদ্ধি ৷ মুণ্ডাকশ্রুতিঃ ॥ সৰ্ব্বদা ধ্যানের দ্বারা জীবাত্মা রূপ। শরকে তীক্ষা করিয়া প্রণব রূপ মহাস্ত্ৰ ধনুকেতে তাহা সন্ধান করিবেক পশ্চাৎ ব্ৰহ্ম চিন্তন যুক্ত চিত্ত দ্বারা মনকে আকর্ষণ করিয়া অক্ষর স্বরূপ ব্ৰহ্মেতে হে সৌম্য সেই জীবাত্মা রূপ। শরকে বিদ্ধ করা ৷ তদ্ধনমিত্যুপাসিতব্য ৷ তলব কারোপনিষৎ ॥
- সৰ্ব্ব ভজনীয় করিয়া তিনি বিখ্যাত হয়েন এই প্রকারে ব্রহ্মের উপাসনা অর্থাৎ চিন্তা কৰ্ত্তব্য হয় ।
ভট্টাচাৰ্য্য লিখেন তাহার তাৎপৰ্য্য এই যে “যদি সৰ্ব্বত্ৰ ব্ৰহ্মময় ক্ষপ্তি না হয় তবে ঈশ্বরের সৃষ্ট এক এক পদার্থকে ঈশ্বর বোধ করিয়া উপাসনা করিলেও ফল সিদ্ধি অবশ্য হয় আপনার বুদ্ধি দোষে বস্তুকে যথার্থীপে না জানিলে ফল সিদ্ধিয় হানি হইতে পারে না। যেমন স্বপ্নেতে মিথ্যteব্যাত্ৰাদি
