পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৭৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয়ভাষা ব্যাকরণ। ” ԳՓԳ মোসলমানী ; পাঠান, পাঠানী। লকারান্ত নামে ইনী অথবা আনী সংযোগ হয়, যেমন চণ্ডাল, চণ্ডালিনী ; মোগল, মোগলানী। সামান্য পশ্বাদির নাম যাহা হলন্ত হয় তাহার স্বীত্ব বোধের নিমিত্ত ঈ কিম্বা ইনী ইহাচার প্ৰয়োগ করা যায়, যেমন শেয়ালা, শেয়ালী ; বাগ, বাগিনীঠ; সাপ, সাপিনী। যাতা আকারান্ত হয় তাহার আকার ঈকারে পরিবর্ত হয়, যেমন ভেড়া ভেড়ী ; ঘোড়া, ঘোড়ী, ঘুড়ীি”। আর অন্য নাম সকল যাহা জ্ঞাতি কুটুম্ব ইত্যাদি সম্বন্ধবাচক হয় তাহার। ভাৰ্য্যা বোধের নিমিত্ত এই শেষের নিয়মানুসারে আকাবকে ঈকারে পরিবর্ত করা যায়, যেমন খুড়া, খুড়ী ; মামা, মামী ; ইত্যাদি । ر ইকারান্ত নাম সকলের অন্তে নী। প্রয়োগ হয়, যেমন হাতি, হাতিনী, এইরূপ স্ত্রী জাতিজ্ঞাপনের নিমিত্ত অনেক শব্দের পূৰ্ব্বে স্বী শব্দ প্রয়োগ হয়, যেমন চাল, দীচীল ; শশার, ঈী*াশারু । আর মানুষ্যের মধ্যে বিশেষ বিশেষ জাতি ও দেশ সম্বন্ধীয় স্ত্রীকে সাধারণ সম্বন্ধবাচক শব্দের দ্বারা কহ। যায়, যেমন বারোন্দ্রের কন্যা, নাগরের স্ত্রী, ইংরেজের বিবী । निशुभाङिकाठु लिश्र । বাপ তাহার স্ত্রী মা, ভাই তাহার স্ত্রী ভাজি, বুন তঁহার স্বামী বোনাই, মাসী তাহার স্বামী মেসো, আঁড়িয়া, গাই ইত্যাদি। সংস্কৃত স্ত্রীলিঙ্গ শব্দ সকল যাহা কোষে ও ব্যাকরণে প্ৰাপ্ত হয় তাহার প্রয়োগ তদাবস্থই ভাষাতে ব্যবহার হয়, যেমন ব্ৰাহ্মণ, ব্ৰাহ্মণী ; শূদ্র, শূদ্র ; ব্যান্ত্রি, ব্যাস্ত্রী। সংস্কৃত ভাষাতে স্ট্রীত্ব বোধের যে নিয়ম সকল তাহা বাঙ্গালা ভাষা ব্যাকরণে

  • পশুবাচৰু শব্দের আর কোন কোন জাতিবাচক ও যৌগিক শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ প্রয়োগে পুর্ব দীর্ঘ স্বরের স্থানে কোন এক বিশেষ হ্রস্ব স্বর হয়, যেমন ঘোড়া, ঘুড়ী ; গোয়ালা, cf

8 ዓ