পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৭৭৪

ՊԵՀ রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলী। যাবৎ, যে পৰ্যন্ত, তাবৎ, সে-পৰ্যন্ত ; কোন বিশেষ্য শব্দের পূর্বে যাবৎ কিম্বা তাবৎ শব্দ থাকিলে সমুদায় বাচক হয়। সুতরাং গুণাত্মক বিশেষণ শব্দের ন্যায় ব্যবহৃত হয়, যেমন যাবৎ বস্তু এ সংসারে দেখি সকল নশ্বর ; তাবৎ মনুষ্য দুঃখভাগী হন, কিন্তু যখন যাবৎ অথবা তাবৎ শব্দ পৃথক থাকে তখন বিশেষণীয বিশেষণ হয়, যেমন যাবৎ তুমি থাক তাবৎ আমি থাকিব, এই দ্বিতীয় প্রকার প্রয়োগে কখন কখন তাবৎ শব্দ উহ্য হয়, যেমন যাবৎ তুমি থাকিবে, আমি থাকিব, সেইরূপ যখন এ শব্দের নিয়ত তখন শব্দ হয়, যেমন যখন তুমি যাইবা, তখন আমি যাইব ; তখন শব্দও কখন পূর্ববৎ টুহ হইয়া থাকে। কবে অর্থাৎ কোন দিবস, কখন অর্থাৎ কোন সময়, সৰ্ব্বদা প্রশ্নে ব্যবহৃত হয় ; তবে শব্দ সংযোজন প্রকারে পরের ক্রিয়ার সহিত প্ৰায় আসিয়া থাকে। ইহার বিবরণ পূর্বে আছে। যত ইহার নিয়ত তত শব্দ হয়। এত, কত, কেন, প্রায়, যেমন, কেমন, ইত্যাদি শব্দও এই প্রক পণে গণ যায়। যেমন ইহার নিয়ত তেমন শব্দ হয় ; এমন অর্থাৎ এ প্রকার ; কেমন অর্থাৎ কি প্রকার, যথা কেমন আছেন, তিনি কেমন মনুষ্য হন ; কেমনে অর্থাৎ কি প্রকারে, যেমন কেমনে তঁহাকে পাইব । কিছু, অধিক, যথেষ্ট, না, নাই, নহে, হঠাৎ, দৈবাৎ, অকস্মাৎ, বুঝি, ভাল, যথার্থ, হাঁ, বটে, পরস্পর, পরম্পরায়, অধিকন্তু, পুৰ্ব্বাপর, এ সকল শব্দও এ প্ৰকারণে গণনা করা যায় । গুণবাচক শব্দের পরে “পূর্বক” ইহার প্রয়ােগদ্বারা বিশেষণীয় বিশেষু, ণের তাৎপৰ্য্য অনেক স্থানে ব্যক্ত করা যায়। যেমন তিনি পৈৰ্য্য পূর্বক যুদ্ধ করিলেন, বিচক্ষণতা পূর্বক আপন পরিবারের প্রতিপালন করিতেছেন। যে যে শব্দ “খান” ইহাতে পৰ্য্যবসান হয়, যেমন সেখানে আর তথা, ৰখা ইত্যাদি ও যে যে শব্দের “খান” ইহাতে পৰ্য্যৰসান হয়, যেমন এখন, ।