পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৭৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

pe 8 রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলী। যখন ঐ চুম্বক স্বাচি উত্তর মুখে দুলিয়া দুলিয়া কাগজে লিখিত উত্তরদিকের উপরে স্থির হয়, তখন কোন স্থান কোন দিগে তাহ নিশ্চয় জানা যায়। প্ৰত্যেক জাহাজে বড় এক চুম্বক যন্ত্র সর্বদা থাকে এবং জাহাজের যে স্থানে অত্যন্ন দোকান আছে। ঐ স্থানে চুম্বক যন্ত্র রাখে। যখন নাবিকেরা কোন দিকে জাহাজ লইয়া যাইতে নিশ্চয় করে, তখন এই চুম্বক যন্ত্রদ্বারা তাহারা অগম্য অথচ পথহীন সমুদ্রের মধ্যে উপরে গ্ৰহ নীচে জলমাত্ৰ দেখিয়াও নয় দশ হাজার ক্রোশ পৌঁছছে। যাহারা স্বীকার করে যে ইউরোপের মধ্যে প্রথম চুম্বক যন্ত্র সৃষ্টি হুইয়াছে তাহারা বলে যে ইউরোপের মধ্যে নাপলস দেশে ফ্লাবিও জৈয়া নামে এক ব্যক্তি ১৩০২ সনে চুম্বক যন্ত্র সৃষ্টি করিয়াছেন। এই হেতুক সে দেশের ধ্বজার স্বরূপ। ঐ চুম্বক যন্ত্র হইয়াছে ইতি। N মকর মৎস্যের বিবরণ । মকর মৎস্ত আমারদের জ্ঞানবিষয় তাবৎ সৃষ্ট বস্তুর মধ্যে বৃহৎ । তাহার মধ্যে কোন কোন মৎস্য পঞ্চাশ হাত লম্বা এবং শরীরের তৃতীয়াংশ তাহার মস্তক, তাহার পুচ্ছ নয়। হাত লম্বা এবং তাহার ডানা চব্বিশ হস্ত আয়তন । তাহার চক্ষুঃ বড় গরুর চক্ষুর মত, এবং এমত স্থানে স্থাপিত যে সে চতুর্দিকে দৃষ্টি করিতে পারে; মকরী নয় দশ মাস গর্ভবতী হইয়া অন্য মৎস্তের মত ডিম্ব প্রসব না করিয়া পশুর ন্যায় একটী শাবক প্রসব করে, ঐ শাবক আপন মাতার দুগ্ধে প্ৰতিপালিত হয়। সমুদ্রে এক প্রকার শুষ্ঠায় বর্ণ ও একাদুলি পরিমাণ কীট আছে, মকর মৎস্ত সেই কীট ভক্ষণ করে। সুমুদ্রের এই বৃহৎ জন্তুর অনেক অরি আছে। ર્ષિ উকুনের মত সমুদ্রে এক প্রকার ক্ষুদ্র কীট আছে, তাহারা ঐ মৎস্তের চৰ্ম্মে সংলগ্ন হইয়া