পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৮০২

yrè O * রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলী । ইহার পূৰ্ব্বে যত বেলুন হইয়াছিল, সে সকল বেলুন রজ্জ দ্বারা পৃথিবীতে বন্ধ থাকিত। ঐ শনে পিলাতর সাহেব এক আত্মীয় লোকের সহিত বিনা বন্ধনেতে বেলুনে উৰ্দ্ধে উঠিতে নিশ্চয় করিলেন। সকল প্ৰস্তুত হইলে ঐ আকাশ যাত্রকেরা বেলুন দ্বারা ৬২ পলে আড়াই ক্রোশ গমন করিলেন তাহাতে কোন ব্যাঘাত জন্মিল না । পরে সাগ্নিক বেলুন দ্বারা আকাশ গমন শেষ হইল ; যেহেতুক ইহার পরে অগ্নির স্থানে উদঘাত, বায়ুতে বেলুন পরিপূর্ণ করিলেন। ঐ উদঘাত বায়ু তাহারদের অধিক আয়ত্ত ও তাঁহাতে কাষ্ঠাদির অপেক্ষা নাই । “ ঐ উদঘাত বায়ুর দ্বারা চার্লস ও রবার্ট এই দুই সাহেব বেলুনের পরীক্ষা প্রথমে করিলেন অর্থাৎ রেশমের এক বেলুন প্ৰস্তুত করিয়া ঐ বায়ুতে পরিপূর্ণ করিলেন ও তাহার নীচে নল-নিৰ্ম্মিত সাড়ে পাঁচ হস্ত দীর্ঘ ও আড়াই হস্ত আয়ত এক নৌকা সংলগ্ন করিয়া তাহার মধ্যে উপযুক্ত হিসাবে ভার রাখিলেন। ঐ যন্ত্ৰ উৰ্দ্ধে উঠিলে আগ্নেয় আকাশ নিৰ্গত হওয়াতে তাহারা যেমন বেলুন নামিতে দেখিল তেমন বোঝাইর কিঞ্চিৎ ফেলিয়া দিলে হািলকী হইয়া ঐ বেলুন পুনর্বার উপরে উঠতে লাগিল। এই উপায় দ্বারা তাহদের আকাশ গমন কালে তাহারা পৃথিবীর উপরে সমান ভাবে বেলুন রাখিলেন। সাড়ে চারি দণ্ডের মধ্যে তাহারা সাড়ে তের ক্ৰোশ ভ্ৰমিয়া পৃথিবীতে নামিলেন। কিন্তু আগ্নেয় আকাশ বেলুনে অবশিষ্ট ছিল, তৎপ্রযুক্ত চার্লস সাহেব দ্বিতীয়বার একাকী উৰ্দ্ধে গমন করিতে উদ্যত হইলেন, তাহার ভ্রাতার অবরোহণে বেলুনের ভার এক মণ পচিশ শের নূ্যন হইল, তাহাতে এক দণ্ডের নুন কালে তিনি ছয় হাজার হস্ত উঠিলেন, সেখানে তাৰৎ, বিশ্ব তাহার অদৃপ্ত হইল। প্রথমতঃ তিনি আকাশ তত্ত্বজ্ঞান করিলেন, মৃতক্ষণ পরে তাহার হন্তের অঙ্গুলী শীতোতে জড়ীিভূত, হইল, কিন্তু তিনি গ্রাষ্ঠেয়ে মহী দৰ্শন করিলেন তাহাতে তিনি সকল কটুক্তিরােষ্ট্রঞ্জ శా *