পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৮০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮১৬. রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলী। বিচার জ্ঞাপক ইতিহাস । নওসেরও খা নামক পূৰ্ব্বকালের এক বাদসাহ যথার্থবিচার জন্য অত্যন্ত খ্যাতিপন্ন ছিলেন, তাহার বিচার বিষয়ক বৃত্তান্ত এবং দৃষ্টান্ত অনেক অনেক পারস্ত গ্ৰন্থ মধ্যে বিন্যাসিত আছে। এক দিবস একজন মন্ত্রী তাহার সমীপে নিবেদন করিল যে অমুক প্রদেশের কৃষি ব্যবসায়িবৰ্গ যদৰ্থে আনীত তদাপরাধোপসৰ্গ স্ব স্ব কৰ্ম্মকারিদিগকে উৎসর্গ করিয়া আপনারাদিগকে নিরপরাধী বোধ করিতেছে। বাদসাহ উত্তর করিলেন যে ইহা কোন মতে সম্ভাবিত হয়ু না যে অস্ত্ৰদ্বারা লোকের মন্তক চ্ছেদন করিয়া অন্ত্রের উপর দোষ দিয়া আপনি নির্দোষী হইতে পারে। ইহার অভিপ্ৰায় এই যে এক ব্যাক্ত আপন স্বামির অনুজ্ঞানুসারে এক ব্যক্তিকে সংহার করিয়াছিল, তাহার পক্ষে একজন মুসলমান শাস্ত্রের স্মৰ্ত্তবিশেষ এই অনুমতি করিয়াছিলেন { যে, ভূত্য কেবল অস্ত্রের ন্যায় হয়। সুতরাং এই সংহারের পরিবর্তে স্বামিকে সংহার করা এবং তৃত্যকে বন্ধনালয়ে রাখা কৰ্ত্তব্য, কিন্তু অন্য একু বচন আছে যে, যে ব্যক্তি যে কৰ্ম্ম করে সেই স্বয়ং তাহার ফলভোগী হয়। এই বচন প্ৰমাণে সিদ্ধান্ত কর্তারা এ নিয়মের বিপরীত অনুমতি করিয়াছেন যে, ষে তৃত্যের হন্তে মন্তক চ্ছেদন হয় তাহার মস্তক চ্ছেদ করা এবং যাহার আজ্ঞায় সংহার করে তাহাকে চিরকালের নিমিত্তে বন্ধনালয়ে রাখা উচিত। কিন্তু এই উভয় মতের একটা কারণ এইরূপ সিদ্ধান্ত করিয়াছেন যে ষািভপি স্বামী আপিন তৃত্যকে প্রাণবধের আশঙ্কা দেখাইয়া বাধিত করিয়া কাহারে” প্রাণ হাননে এস্কিম্ভ করেন তবে সে স্বামী প্ৰাণ হাননের উপযুক্ত বটে। ইতিহাস। এ

  • किठनं मौ এবং অমাত্যবর্গে এক দিবস আপন, বাদশাহকে জিজ্ঞাসা করিপেক, যে হে বাদসহ, আপনি সর্বদা কহিয়া থাকেন, নে রাজসাধ