পাতা:রাজা সাহেব (১ম অংশ) - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮
দারােগার দপ্তর, ১৪১ সংখ্যা।

আপন গাড়ীতে আরোহণ করিলেন। তাঁহার চাকর সেই কাপড়গুলি গাড়ীর ভিত্তর রাখিয়া কোচবাক্সের উপর গিয়া বলিল। কোচমান গাড়ী চালাইয়া দিল। দেরীলাল তাঁহার মস্তক নিম্ন ও দক্ষিণহ উত্তোলন করিয়া উপর্যুপরি তিন চারিবার সেলাম করিলে, গাড়ী ক্রমে ক্রমে ভিড়ের ভিতর বাইয়া মিশিল।

 এই গাড়ী চলিয়া গেলে দেবীলাল মনে মনে ভাবিতে লাগিল যে, অদ্য কোন গতিকে সেক্রেটারী বাবুর মত পরিবর্তিত করিয়া তাঁহাকে ত ফিরাইয়া দিলাম। কিন্তু কল্য কি করিব? আমার কথায়, ত কোন জহরি মুক্তা লইয়া মেছুয়াবাজারে যাইবে না। আর আমি যে মুক্তা প্রভৃতি বহুমূল্য দ্রব্যের দালালী করিতেছি, ইহাও ত কেহ বিশ্বাস করিবে না। এখন কোন উপায় অবলম্বন করিলে, বাবুও সন্তুষ্ট হইবেন আমিও কিছু উপার্জ্জন করিতে সমর্থ হইব? পথের ধারে একখানি দোকানে বসিয়া দেবীলাল এইরূপ ভাবিতেছে, এমন সময় অন্য আর একজন দালাল আসি। সেইস্থানে উপস্থিত হইল, এবং দেবীলালকে চিন্তিত দেখিয়া বলিল, “কি হে দেবীলাল! বসিয়া বসিয়া কি ভাবিতেছ?”,

 দেবীলাল। তুমি আসিয়াছ, ভালই হইয়াছে। তোমার আসায় গিয়া তোমার সহিত দেখা করিব ভাবিতেছিলাম। একটি কার্য্য উপস্থিত আছে, জোগাড় করিতে পারিলে উভয়েই কিছু কিছু পাইতে পারি।

 দালাল। এমন কি কার্য্য উপস্থিত করিয়াছ যে, তাহাতে উভয়েই কিছু কিছু উপার্জ্জন করিতে পারিব?