পাতা:রাজা সাহেব (১ম অংশ) - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২২
দারােগার দপ্তর, ১৪১ সংখ্যা ।

"মহারাজ! আপনার যে যে মুক্তা মনোনীত হয়, আপনি গ্রহণ করুন। উহার এক প্রকার দামও শুনিলেন, পরে দেখিয়া শুনিয়া উহার দাম স্থির করা যাইবে। এখন আপনি উহা আপনার নিকট রাখিয়া দিন। ইনি দুই দিবস পরে আসিয়া হয় ইহার দাম—না হয় মুক্তা ফেরৎ লইয়া যাইবেন। আমরা কল্য প্রাতঃকালে আসিয়া আপনার সহিত সাক্ষাৎ করিব।” ভগবান দাসের এই কথায় মুক্তা-বিক্রেতাও সম্মত হইলেন। তখন মুক্ত কয়েকটা সেক্রেটারী বাবুর নিকট রাখিয়া তাহারা সকলেই প্রস্থান করিলেন।

 তাঁহারা যখন সেক্রেটারী বাবুর বাসা হইতে প্রত্যাগমন করেন, সেই সময়ে পথিমধ্যে ভগবান দাস দেবীলালকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন, “ভাই! বোধ হইতেছে, এই বাবুটা অতি সরল; সুতরাং ইহার নিকট হইতে কিছু অর্থ বাহির করিয়া লইতে হইবে। যাহাতে আমাদের দশ টাকা উপার্জন হয়, এবং এই জহুরিও কিছু পায় তাহার এক সদুপায় করিতে হইতেছে।” এই বলিয়া সেই মুক্তাবিক্রেতাকে কানে কানে কি বলিয়া দিল। তিনি অতঃপর এই দালালদ্বয়কে পরিত্যাগ করিয়া প্রস্থান করিলেন।

 দেবীলাল ও ভগবান দাস পরদিবস প্রত্যুষে সেক্রেটারী বাবুর বাসায় গিয়া পুনরায় উপস্থিত হইল, এবং বাবুকে সম্বোধন করিয়া কহিল, “মহাশয়। কল্য সেই জহরতবিক্রয়কারীর সম্মুখে আপনাকে আমরা কিছু বলিতে পারি নাই। যে সকল মুক্তা আপনি মনোনীত করিয়া রাখিয়া দিয়াছেন, তাহা অতি উৎকৃষ্ট দ্রব্য। তথাপি সেই জহুরি