ইহার মুল্য আরও কিছু কম করিয়া লইতে হইবে।” দালালদ্বয় বাবুর কথায় সম্মত হইয়া আর কোন দোকানে গমন করিল না। বাবুর সহিত বাজার পরিত্যাগ করি মেছুয়াবাজারের বাসা-অভিমুখে প্রস্থান করিল।
গমনকালীন কথায় কথায় সেক্রেটারী বাবু দালালদ্বয়কে কহিলেন, “তোমাদিগের দালালীতে আমি বিশেষ রূপ সন্তুষ্ট হইয়াছি। কোনরূপ দ্রব্যাদি ক্রয় করিবার নিমিত্ত যখন আমি কলিকাতায় আসিব, সেই সময় তোমাদিগের সন্ধান করিব, এবং তোমাদিগের সহায়তা গ্রহণ করিয়া দ্রব্যাদি ক্রয় করিব। তোমাদিগের দালালী দেখিয়া বোধ হইতেছে যে, তোমরা উভয়েই অতিশয় পুরাতন দালাল।”
ভগবান দাস। হাঁ মহাশয়! অনেক দিবস হইতে এই কার্য্য করিতেছি।
সেক্রেটারী বাবু। অনেক টাকা কর্জ দিতে পারে, এরূপ কোন বড়লোকের সহিত তোমাদিগের জানা শুনা আছে কি?
ভগবান। কেন মহাশয়! কোন ব্যক্তি টাকা কর্জ্জ করিতে চাহেন কি?
বাবু। একজন বড়লোকের কিছু টাকার প্রয়োজন আছে বলিয়া জিজ্ঞাসা করিতেছি।
ভগবান। দালালীই যখন আমাদিগের ব্যবসা, তখন আমরা সকল কর্মেরই দালালী করিয়া থাকি। টাকা ধার দেওয়া ত আমাদিগের প্রধান কর্ম্ম। কি দ্রব্য বন্ধক রাখিয়া কত টাকা ধার দেওয়াইতে হইবে, তাহা আমাকে বলিয়া দিবেন, আমি অনায়াসেই টাকার সংগ্রহ করিয়া দিব।