পাতা:রাজা সাহেব (১ম অংশ) - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রাজা সাহেব।
৪৩

 পুনরায় ক্রীড়া চলিতে লাগিল। পুনরায় রাজা মহাশয় পরাভূত হইতে লাগিলেন। এইরূপে প্রায় দুই ঘণ্টা কাল ক্রীড়া হইবার পর হার-জিতের হিসাব হইল। সেই সময় জানিতে পারা গেল যে, রাজা মহাশয় পঁচিশ হাজার টাকা জিতিয়াছেন। কিন্তু এক লক্ষ পঁচিশ হাজার টাকা হারিয়া গিয়াছেন; সুতরাং হিসাবে রাজা মহাশয় লক্ষ টাকার জন্য দায়ী হইলেন।

 এইরূপে অনেকগুলি টাকা একবারে হারিয়া যাওয়ায় তিনি একটু দুঃখিত হইলেন সত্য; কিন্তু ক্যাসবাক্স খুলিয়া একতাড়া নোট বাহির করিয়া উহাদিগের হস্তে প্রদান করিলেন। কারেন্সি অফিস হইতে নূতন নেটের তাড়া বাহির হইবার সময় যেরূপভাবে লাল সূতার দ্বারা উহা বাঁধা থাকে, এ নোটগুলিও সেইরূপভাবে বাঁধা। এই তাড়ার উপরিস্থিত একখানি নোটের উপর সকলের দৃষ্টি পড়িল; উহা একখানি হাজার টাকার নোট। সুতরাং সকলেই তখন অনুমান করিল যে, এ নোটের তাড়ায় একশত নোট আছে, এবং প্রত্যেক নোট এক হাজার টাকার। যাহার হস্তে রাজা মহাশয় সেই নোটের তাড়া অপর্ণ করিলেন, তিনি উহা, না গণিয়া আপনার পকেটেই রাখিয়া দিলেন।

 ইহার পরই সে দিবসের নিমিত্ত ক্রীড়া শেষ হইয়া গেল। পরদিবস এই সময়ে পুনরায় ক্রীড়া আরম্ভ করিবেন, এইরূপ স্থির করিয়া রাজা মহাশয় গাত্রোখান করিবার উদ্যোগ করিলেন। সেই দিবস অনেকগুলি টাকা তিনি