পাতা:রাজা সাহেব (৩য় অংশ) - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রাজা সাহেব।
১০১

না পারিয়া এক টেলিগ্রাফ করিলেন। তাহারও কোনরূপ উত্তর না পাইয়া, সেক্রেটারী বাবু অতিশয় চিন্তিত হইলেন। এইরূপে প্রায় পনর দিবস বিনাকার্যে অতিবাহিত হইয়া গেল। পাটের আমদানী ক্রমে কমিয়া আসিতে লাগিল। তখন অনন্যোপায় হইয়া সমস্ত বিষয় বিবৃত করিয়া আপনার ভ্রাতাকে এক পত্র লিখিলেন। সেই পত্রের উত্তরে তাহার ভ্রাতার নিকট হইতে অবগত হইলেন, “যে বাড়ীতে রাজা মহাশয় বাস করিতেন, তথায় গমন করিয়া দেখিলাম যে, সেই বাড়ীতে এখন লোকজন কেহই বাস করে না, তাহার সদর দ্বার তালাবদ্ধ আছে। রাজা মহাশয় উক্ত বাড়ী পরিত্যাগ করিয়া যে কোথায় গমন করিয়াছেন, তাহাও সেখানকার কেহই বলিতে পারিল না।”

 ভ্রাতার নিকট হইতে এই সকল বিষয় অবগত হইয়া সেক্রেটারী বাবু যে কতদুর ভাবিত হইলেন, তাহা আর কি বলিব? কখনও ভাবিলেন, রাজা মহাশয় কোথায় উঠিয়া গেলেন, তাহা কিরূপে স্থির করিব? কখনও ভাবিলেন, এত বড় একটা রাজা মনের কষ্টে যদি সেই বাড়ী পরিত্যাগ করিয়াই থাকেন, তাহা হইলে তিনি যে কোথায় উঠিয়া গিয়াছেন, তাহা অনায়াসেই জানিতে পারা যাইবে। আবার ভাবিলেন, যদি রাজা মহাশয়ের কোনরূপ সন্ধান না করিয়া উঠিতে পারি, তাহা হইলে মনিবের নিকট যে কিরূপ লজ্জিত ও লাঞ্ছিত হইব, তাহা বলিতে পারি না। তাহার উপর আমার নিজের পাঁচ হাজার টাকা আদায় হইবার উপায় কি? কখনও ভাবিলেন, পূর্ব্বে শুনিতাম যে, কলিকাতা