পাতা:রাজা সাহেব (৩য় অংশ) - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রাজা সাহেব।
১২৩

 দালাল ভগবান দাস পূর্ব হইতেই লুকায়িত হইয়াছিল সত্য, কিন্তু কলিকাতা পরিত্যাগ করে নাই। সুতরাং সেও কলিকাতায় ধৃত হইল।

 বড়বাজারের দোকানদারের নিকট হইতে হাজার টাকা মূল্যের যে কাপড় উহারা জুয়াচুরি করিয়া লইয়াছিল, তাহা স্থানে স্থানে বন্ধক রাখিয়াছিল, এবং কতক বিক্রয়ও করিয়াছিল, তাহাও পাওয়া গেল।

 যে ব্যক্তির নিকট হইতে গৃহ সাজাইবার আসবাব ভাড়া করিয়া লইয়াছিল ও যে সকল দ্রব্যের সহিত উহারা ঐ ঘর পরিত্যাগ করিয়া চলিয়া যায়, সেই সকল দ্রব্যও ক্রমে আমাদিগের হস্তগত হইল; উহার কতক কতক উহাদিগের বাসস্থানেই পাওয়া গেল, অবশিষ্ট যাহা বিক্রয় করিয়া ফেলিয়াছিল, তাহাও সেই সকল স্থান হইতে বাহির হইয়া পড়িল।

 আসামীগণের নিকট হইতে প্রাপ্ত দ্রব্যাদির সহিত রাজা, মন্ত্রী প্রভৃতি সকলেই পরদিবস ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবের নিকট আনীত হইল। অমাত্যবর্গ-পরিবেষ্টিত মহারাজাকে দর্শন করিবার নিমিত্ত আদালত গৃহ পূর্ণ হইয়া গেল। উপর্যুপরি কয়েক দিবস পর্যন্ত ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেব এই মোকদ্দমা শ্রবণ করিয়া পরিশেষে উহাদিগের সকলকেই উচ্চ আদালতে প্রেরণ করিলেন। দায়রায় উহাদিগের রাজকার্য্যের পর্যালোচনা (!) হইলে জুরিগণ উহাদিগের সকলকেই দোষী সাব্যস্ত করিলেন, আর বিচারক উহাদিগের প্রত্যেককেই কঠিন দণ্ডে দণ্ডিত করিলেন। অদলবলে রাজা মহাশয় এইরূপে কারাগারে গমন