পাতা:রাজা সাহেব (৩য় অংশ) - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯০
দারােগার দপ্তর, ১৪৩ সংখ্যা।

আফিস হইতে নূতন নোটের তাড়া বাহির হইবার সময় যেরূপ। ভাবে লাল সূতার দ্বারা সেলাই করা থাকে, ইহাও সেরূপ ভাবে সেলাই করা। সুতরাং বোধ হইল যে, উহার মধ্যে একশতখানি করেন্সী নোট আছে। তাড়ার উপরের যে নোটখানি দেখা যাইতেছিল, তাহা একখানি হাজার টাকার নোট বলিয়া বোধ হইল।

 রাজা মহাশয় উক্ত নোটের তাড়া আপনার ক্যাসবাক্স হইতে বাহির করিয়া সেইস্থানেই রাখিয়া দিলেন, এবং মন্ত্রী মহাশয়কে কহিলেন, “আপনাদিগের লেড়াপড়া শেষ হইলে এসিষ্টেণ্ট সেক্রেটারী মহাশয়কে এই লক্ষ টাকা প্রদান করিয়া এখনি বিদায় করিয়া দিউন। কারণ, আজ রাত্রিকালেই পাট ক্রয় করিবার নিমিত্ত ইহাকে গমন করিতে হইবে।”

 রাজা মহাশয় ও মন্ত্রী মহাশয়ের মধ্যে যে, কথা হইল, তাহা শুনিয়া ও লক্ষ টাকার নোটের তাড়া সম্মুখে দেখিয়া, এসিষ্টেণ্ট সেক্রেটারী মহাশয় বক্রী পাচশত টাকার নোট লিখিয়া দিতে সম্মত হইলেন।

 মন্ত্রী মহাশয়ের আদেশমত দাওয়ানজী মহাশয় আবশ্যক-মত লেখাপড়া করিতে আরম্ভ করিলেন। এদিকে রাজা মহাশয় এসিষ্টেণ্ট সেক্রেটারী মহাশয়কে নানাপ্রকার উপদেশ দিয়া কিরূপে কত পাট ক্রয় করিতে হইবে, কত দিবসের মধ্যে পাট ক্রয় শেষ হওয়া আবশ্যক, এই সকল বিষয় পরিষ্কাররূপে বুঝাইয়া দিতে লাগিলেন। “

 দরবার গৃহে বসিয়া সকলেই যখন এইরূপ ভাবে আপন জাপন কর্মে ব্যস্ত আছেন, সেই সময়ে অন্তঃপুরের মধ্য