পাতা:রাজা সাহেব (৩য় অংশ) - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রাজা সাহেব।
৯৩

সঙ্গে সঙ্গে অন্তঃপুরের গোযোগও একবারে কমিয়া গেল। সেই সময় যে সকল ভৃত্য অন্তঃপুরের ভিতর ছিল, তাহার মধ্যে কোন কোন ব্যক্তি বাহিরে আসিয়া উপস্থিত হইল। তাহাদিগের মুখে সকলেই জানিতে পারিলেন যে, যে সময় রাজা মহাশয় দরবার গৃহে বসিয়াছিলেন, সেই সময় অন্তঃ পুরের ভিতর তাঁহার এক বৎসর বয়স্ক একমাত্র কুমার বাহাদুর উপরের বারান্দায় খেলা করিতেছিলেন। খেলা করিতে করিতে বালক হঠাৎ কিরূপে নিয়ে পড়িয়া যায়, এবং তাহাতে সাংঘাতিকরূপে আঘাত প্রাপ্ত হয়। তাহার এখনও কোনমতে চেতনা সঞ্চার হয় নাই। ডাক্তার সাহেব আসিয়া উহাকে দর্শন করিবামাত্র উপদেশ দেন যে, এইস্থানে এই বালককে রাখিলে কোনরূপেই ইহার চিকিৎসা হইবে না। ইহাকে এখনই হাসপাতালে লইয়া যাওয়া আবশ্যক। এই বলিয়া ডাক্তার সাহেব নিজেই তাহাকে ক্রোড়ে করিয়া আপন গাড়ীতে উঠাইয়া লরেন। রাজা মহাশয়ও ডাক্তার সাহেবের সহিত তাহার গাড়ীতে এবং রাণী ও এই বাটীর অপরাপর স্ত্রীলোকগণ সকলেই অপর আর একখানি গাড়ীতে উঠিয়া, এই বাড়ী পরিত্যাগ করিয়া চলিয়া গিয়াছেন। |

 এই সকল কথা শ্রবণ করিয়া সকলেই অতিশয় দুঃখিত হইলেন। কাহায় কাহারও চক্ষু দিয়া অশ্রুজল নির্গত হইল। কেহ হাসপাতালে যাইবার নাম করিয়া বাড়ী হইতে বহির্গত হইয়া গেল। সেই সময় মন্ত্রী মহাশয় এসিষ্টেণ্ট সেক্রেটারী মহাশয়কে কহিলেন, “হঠাৎ কি ভয়ানক বিপদ উপস্থিত হইল দেখিলেন! আমি এইস্থানে আর অপেক্ষা করিতে পারিতেছি