কর্ম্মচারী। কালীবাবুর নিকট হইতে। যে সময় নোটগুলি রামজীলালকে দেওয়া হয়, সেই সময় কালীবাবু সেই সকল নোটের নম্বর টুকিয়া রাখিয়াছিলেন। তিনি আমাকে সেই সকল নম্বর প্রদান করিয়াছেন।
আমি। সেই নোটগুলি সম্বন্ধে করেন্সি আফিসে একবার অনুসন্ধান করা উচিত।
কর্ম্মচারী। সে অনুসন্ধানও আমি করিয়াছি। সেই সকল নোটের টাকা দেওয়া স্থগিত (Stop) করিবার মানসে করেন্সি আফিসের বড় সাহেবের নামে একখানি পত্র লেখা হয়। সেই পত্রের জবাবে তিনি যাহা বলিয়াছেন, তাহাতেই রামজীলালের উপর আরও সবিশেষরূপ সন্দেহ আসিয়া উপস্থিত হইয়াছে।
আমি। পত্রের উত্তরে তিনি কি লিখিয়াছেন?
কর্ম্মচারী। তিনি লিখিয়াছেন যে, সমস্ত নোটগুলিই রামজীলাল নামক এক ব্যক্তি সেই স্থানে প্রদান করিয়া তাহার পরিবর্ত্তে দশ টাকার হিসাবে নোট বাহির করিয়া লইয়া গিয়াছে।
আমি। এটী সবিশেষ সন্দেহের কথা!
কর্ম্মচারী। এই সন্দেহের উপর নির্ভর করিয়া তাহার নামে ওয়ারেণ্ট বাহির করিয়াছি।
আমি। সেই জমিদার-পুত্ত্রটী কে, তাহার কিছু অবগত হইতে পারিয়াছেন কি?
কর্ম্মচারী। তাহা আমি এ পর্য্যন্ত কিছুই জানিতে পারি নাই। কালীবাবু কোনরূপেই তাঁহার নাম বলিতে সম্মত নহেন, বা তাঁহার বাড়ী দেখাইয়া দিতে বলায়, তিনি বলেন যে, কোথায় যে তাহার বাড়ী, তাহা তিনি অবগত নহেন। বাড়ীর ঠিকানা তিনি