আমি। নিতান্ত অসম্ভব নহে; কিন্ত রামজীলাল তাহার মনিবের এতদূর বিশ্বাসপাত্র হইয়া এরূপ অবিশ্বাসের কার্য্য করিবে? যাহা হউক, এ বিষয় একবার উত্তমরূপে দেখা আবশ্যক। অর্থের লোভে সময় সময় মনুষ্যগণ যে কি না করিতে পারে, তাহা বলা সহজ নহে। “অর্থই যে অনর্থের মূল” তাহার আর কিছুমাত্র সন্দেহ নাই।
কর্ম্মচারী। এখন এ সম্বন্ধে আমাকে আর কিছু করিতে হইবে কি?
আমি। হইবে বৈকি?
কর্ম্মচারী। কি?
আমি। রামজীলালকে সবিশেষরূপে অনুসন্ধান করিয়া তাহাকে ধরিতে হইবে।
কর্ম্মচারী। আর কিছু?
আমি। সেই জমিদার-পুত্ত্র যে কে, অনুসন্ধান করিয়া তাহার ঠিকানা করিতে হইবে।
কর্ম্মচারী। এই সকল বিষয়ের অনুসন্ধান করিবার নিমিত্ত আমি এখন প্রস্তুত হইতে পারি কি?
আমি। এই সকল বিষয়ের অনুসন্ধানের নিমিত্ত আপনি এখন যেস্থানে ইচ্ছা সেই স্থানে গমন করিতে পারেন; কিন্তু আপনি বহির্গত হইয়া যাইবার পূর্ব্বে আর একটী কার্য্য আপনাকে করিতে হইবে।
কর্ম্মচারী। কি?
আমি। আমার সহিত কালীবাবুর বাড়ীতে একবার গমন করিয়া কালীবাবু ও ত্রৈলোক্যকে আমাকে দেখাইয়া দিতে হইবে।