পাতা:রাণী না খুনি? (প্রথম অংশ) - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
8০
দারোগার দপ্তর, ৮০ম সংখ্যা।

আফিসে আসিয়াছিলেন, এবং তিনিই আমার গাড়িতে চড়িয়া আড়গোড়া হইতে আমাদিগের গাড়ি তাঁহার সেই বাড়ীতে লইয়া যান। পরিশেষে তিনিই আমার গাড়িতে বড়বাজারে গমন করেন, এবং সেই স্থান হইতে প্রত্যাবর্ত্তন করেন।

 কর্ম্মচারী। তোমাদিগের গাড়ির যে ভাড়া হইয়াছিল, তাহা তাঁহারা তোমাদিগের নিকট প্রদান করিয়াছিলেন কি?

 আবদুল। না, ভাড়া আমাদিগের হস্তে প্রদান করিবেন কেন?

 কর্ম্মচারী। তবে কি গাড়ির ভাড়া পরিশেষে তাঁহার নিকট হইতে আদায় করিয়া লওয়া হয়?

 আবদুল। গাড়ির ভাড়া পূর্ব্বে জমা দিয়া গাড়ি ভাড়া লওয়া হয়, কি পরিশেষে তাঁহাদিগের নিকট হইতে ভাড়া আদায় করা হয়, কি একবারেই ভাড়া লওয়া হয় নাই, তাহার কিছুমাত্র আমি অবগত নহি।

 আবদুলের সহিত এইরূপে কর্ম্মচারীর কথাবার্ত্তা হইতে হইতে উভয়েই গিয়া একখানি দ্বিতল বাড়ীর সম্মুখে উপস্থিত হইলেন। সেই স্থানে গমন করিয়াই, আবদুল সেই বাড়ী দেখাইয়া দিয়া কহিল, “এই বাড়ী।”

 আবদুলের এই কথা শুনিয়াই কর্ম্মচারী সেই স্থানে একটু দাঁড়াইলেন; দেখিলেন, উহা বড়গোছের একটী দ্বিতল বাটা; কিস্ত সেই বাটীর দরজা খোলা নাই। বাহির হইতে সদর দরজা তালাবন্ধ। সেই বাটীর অবস্থা দেখিয়া বোধ হইল, উহা একখানি খালি বাড়ী। সেই বাড়ীর দরজায় একখানি কাগজ মারা ছিল, উহাতে লেখাছিল, “এই বাড়ী ভাড়া দেওয়া