কালী। ইহার উভয় কথাই প্রকৃত। আমি পূর্ব্বেও বলিয়াছিলাম, এখনও বলিতেছি যে, আমার কথা সমস্তই প্রকৃত। ইহার মধ্যে একটীও মিথ্যা কথা নাই। আমি জহরতগুলি সেই জমিদার মহাশয়ের বাড়ীতে গিয়া বিক্রয় করিয়া আসি সত্য; কিন্ত টাকাগুলি ত্রৈলোক্যের এই গৃহে বসিয়া আমি রামজীলালের হস্তে প্রদান করি। তিনি উহা উত্তমরূপে গণিয়া-গাথিয়া লইয়া সেই স্থান হইতে চলিয়া যান।
আমি। একথা ত ঠিক নহে, তুমি প্রথমে বলিয়াছিলে, জমিদার-পুত্ত্র ত্রৈলোক্যের গৃহে বসিয়া সেই সকল জহরত খরিদ করেন, এবং সেই স্থানেই তিনি তাহার মূল্য রামজীলালের হস্তে প্রদান করেন।
কালী। এরূপ কথা বলিয়াছি বলিয়া ত এখন আমার স্মরণ হইতেছে না।
আমি। তাহা হইলে আমাদিগের শুনিবারই ভুল হইয়া থাকিবে। সে যাহা হউক, রাণীজির কথাটা কি?
কালী। রাণীজি আবার কে?
আমি। যে রাণীজি জুড়িগাড়ি করিয়া বড়বাজারে গমন করিয়াছিলেন?
কালী। আমার জানিত কোন রানীজি জুড়িগাড়ি করিয়া বড়বাজারে গমন করেন নাই। জমিদার মহাশয় গিয়াছিলেন, সে কথা ত আমি পূর্ব্বেই আপনাদিগকে বলিয়াছি।
আমি। জমিদার মহাশয় বলেন, তিনি জহরত খরিদ করিবার নিমিত্ত বড়বাজারে একবারেই গমন করেন নাই। ইহাতে বোধ হইতেছে, জমিদার মহাশয় মিথ্যা কথা কহিতেছেন?