পাতা:রাণী না খুনি? (শেষ অংশ) - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৪
দারোগার দপ্তর, ৮১ম সংখ্যা।

 “আড়গোড়ায় গমন করিবামাত্রই একখানি প্রকাণ্ড জুড়ি ও একখানি অতিশয় দ্রুতগামী কম্পাস গাড়ি আমি প্রাপ্ত হইলাম। সেই কম্পাস গাড়িতে উপবেশন করিয়াই জুড়ির সহিত আমি পূর্ব্বোক্ত বাড়ীর দরজায় আসিয়া উপস্থিত হইলাম। আমরা সেই স্থানে আগমন করিবামাত্রই ত্রৈলোক্য ভিতর হইতে সেই বাড়ীর দরজা খুলিরা দিলে আমি বাড়ীর ভিতর প্রবেশ করিলাম। গাড়ি দুইখানি বাড়ীর সম্মুখেই দাঁড়াইয়া রহিল।

 “আমি বাড়ীর ভিতর গিয়া প্রথমতঃ ত্রৈলোক্যের সহিত উত্তমরূপে পরামর্শ আঁটিয়া লইলাম। কিরূপ ভাবে আমাদিগকে কি কি করিতে হইবে, তাহার সমস্ত ঠিক হইয়া গেলে, আমি জুড়িগাড়ির সহিসদ্বয়কে সেই গাড়ির পরদা উত্তমরূপে ঢাকিয়া দিতে কহিলাম। সহিসদ্বয় আমার কথা শুনিয়া উহার পরদা সকল এরূপ ভাবে ফেলিয়া দিল যে, উহার ভিতর বসিলে বাহিরের কোন লোক যে আরোহীকে কোনরূপে দেখিতে পাইবে তাহার আর কোনরূপ সম্ভাবনা রহিল না। ইহার পরই ত্রৈলোক্য বাড়ী হইতে বহির্গত হইয়া সেই জুড়িগাড়ির ভিতর গিয়া উপবেশন করিল। আমি বাড়ীর চাবি বন্ধ করিয়া দিয়া সেই চাবি ত্রৈলোক্যের হস্তে প্রদান করিলাম। আমিও সেই কম্পাস গাড়িতে উঠিয়া বড়বাজার অভিমুখে উহাদিগকে গমন করিতে বলিলাম। আমার নির্দ্দেশ মত উভয় গাড়িই একত্র বড়বাজার অভিমুখে গমন করিল।

 ক্রমে গাড়ি গিয়া বড়বাজারে উপস্থিত হইল, এবং রামজীলাল যে দোকানের কর্ম্মচারী ছিল, সেই দোকানের সম্মুখে গিয়া উভয় গাড়িই থামিল। আমি গাড়ি হইতে অবতরণ করিয়া