৩৮
দারোগার দপ্তর, ৮১ম সংখ্যা।
পরে যে স্থানে রামজীলাল বসিয়াছিলেন, তাহার এক পার্শ্বে গিয়া উপবেশন করিলাম।
ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ।
“আমি সেই স্থানে উপবেশন করিলে পর, ত্রৈলোক্য ওরফে রাণীজি, রামজীলালের নাম জিজ্ঞাসা করিল। উত্তরে রামজীলাল কহিল, “রাণীজি! আমার নাম রামজীলাল।”
ত্রৈলোক্য। আমি যে সকল জহরত পসন্দ করিয়া দিয়াছিলাম, তুমি সেই সকল জহরতই আনিয়াছ ত?
রামজীলাল। আমি তাহাই আনিয়াছি।
ত্রৈলোক্য। উহার দাম কত হইয়াছে?
রামজীলাল। প্রায় দশ হাজার টাকা।
ত্রৈলোক্য। তুমি কি কি দ্রব্য আনয়ন করিয়াছ দেখি?
রামজীলাল। রাণীজি! আমাকে ক্ষমা করিবেন। আমার মনিবের আদেশ আছে যে, অগ্রে দাম না পাইলে এই সকল দ্রব্য কাহারও হস্তে প্রদান করিতে পারিব না।
ত্রৈলোক্য। এত সামান্য় টাকার নিমিত্ত তোমার মনিবের এত অবিশ্বাস!
রামজীলাল। আপনাকে আমার কিছুমাত্র অবিশ্বাস নাই। আমার অপরাধ লইবেন না, আমাকে ক্ষমা করিবেন। আমি সামান্য় চাকর হইয়া কিরূপে মনিবের আদেশ লঙ্ঘন করিব?