রাণী না খুনী?
৪৫
বা অপর কোন কার্য্যে হস্তক্ষেপ করিতে ইচ্ছা হইল না। মনে কেমন একরূপ দুর্ভাবনা আসিয়া উপস্থিত হইল। এই সকল কথা যদি কোনরূপে প্রকাশ হইয়া পড়ে, তাহা হইলে আমাকে কি বলিতে হইবে, বা কোন্ উপায়ই বা অবলম্বন করিতে হইবে! এইরূপে নানা প্রকার পরামর্শ করিতে করিতে সেই রাত্রি অতিবাহিত করিলাম।
“পরদিবস দিবা দশটার সময় সেই নোটগুলি সঙ্গে লইয়া, পুনরায় আমি আমার বাসা হইতে বহির্গত হইলাম, এবং করেন্সি আফিসে গমন করিয়া সেই স্থানে সেই নোটগুলি প্রদান করিয়া, তাহার পরিবর্ত্তে কতকগুলি দশ টাকার নোট ও কতকগুলি নগদ টাকা গ্রহণ করিলাম। নোটের পৃষ্ঠে নাম লিখিয়া দিতে বলায়, আমি রামজীলালের নাম ও বড়বাজারের ঠিকানা লিখিয়া দিলাম। বলা বাহুল্য, আমি আমার নাম ও ঠিকানা না দিয়া রামজীলালের নামেই সেই নোট ভাঙ্গাইয়া আনিয়াছিলাম। যাহা হউক, উক্ত সমস্ত টাকাই ত্রৈলোক্যের হস্তে প্রদান করিলাম।”
আমি। ত্রৈলোক্য সেই সকল টাকা কোথায় রাখিয়াছে?
কালী। তাহা আমি বলিতে পারি না। সেই সকল টাকা একটা পিত্তলের কলসীর মধ্যে পুরিতে আমি দেখিয়াছি; কিন্তু পরিশেষে উহা যে কোথায় রাখিয়াছে, তাহা আমি বলিতে পারি না। কিন্তু আমি শুনিয়াছিলাম যে, ত্রৈলোক্য উহা কোন স্থানে মৃত্তিকার মধ্যে পুতিয়া রাখিয়াছে।
আমি। তাহার পর?
কালী। ইহার পর কয়েকদিবস পর্য্যন্ত আর কোনরূপ গোলযোগ শুনিতে পাইলাম না। তাহার পর পুলিসের লোক আসিয়া