পাতা:রাণী ভবানী - হারাণচন্দ্র রক্ষিত.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ । ya sumyrh অধিকতর উজ্জল করিয়া রাখিল । তাই তিনি পরিবারস্থ সকলের স্নেহ-সম্বোধন সোহাগে যেন একটু বঞ্চিত করিয়া, পরিণাম অবস্থার সামঞ্জস্য রক্ষার জন্য, কন্যার নাম রাখিলেন, – “ভবানী ।” কেন যে তিনি এরূপ জিদ দেখাইয়া, স্নেহ-পুত্তলি শিশুকন্যার এ নাম পরিবাৰ্ত্তন করিলেন, তাহা তিনি কাহাকেও বলিলেন না । এরূপ স্থলে মনের ভাব প্ৰকাশ করিবার লোকও ङिन् िन्न् | DDDSDBDBBB D DBBBD SSDDBS HDB BDBDDBDB DBBS আর কালে সেই নামেই কন্যা প্ৰখ্যাতনামা হউন,- কিন্তু উপস্থিত আমরা,—এই তপ্ত কাঞ্চনপ্ৰভা স্নিগ্ধ জ্যোতিৰ্ম্ময়ী গৌরীপ্রতিমাকে, তাহার মাতা ও অন্যান্য পরিজনের সহিত ‘গৌরী’ নামেই অভিহিত করিব । অভিহিত করিব, শুধু নামের গৌরবে নহে-ঘটনার পারস্পৰ্য্য এবং এই অদৃষ্ট-বালিকার বাল্য-জীবনও সেই সুত্রে গ্রথিত হইয়াছে । গৌরীকে সোহাগভরে সকলেই কোলে লয় ; কোলে লইয়া তাপিত বক্ষঃ শীতল করে ;--গৌরীও সকলের কোলে উঠিয়৷ উচ্চ মধুর হাসির লহরী তুলিয়া, চক্ষে স্বাভাবিক স্নেহদ্র করুণাজ্যোতিঃ খেলাইয়া, ভুবন আলোকিত করে। সে স্নিগ্ধ-মধুর আলোকে, যে কোলে লয়, সে-ও কৃতাৰ্থ হয় ; আর যে একটু আপন ভুলিয়া শিশুকে নিরীক্ষণ করে, সে-ও যেন ক্ষণকালের জন্য মন্ত্ৰমুগ্ধ হইয়া যায়। সেই স্নিগ্ধ নবনীত দেহ, সেই সাক্ষাৎ সরলতা ও পবিত্রতার আধার স্বচ্ছ হৃদয়, সেই স্বৰ্গীয় আভাবিশিষ্ট মুখ-কমল, সেই সৌন্দৰ্য্যের সারভূত অনিৰ্ব্বচনীয় কোমল-করুণ দৃষ্টি,-সত্যই সকলকে আকৃষ্ট করিয়া ফেলে।