পাতা:রাণী ভবানী - হারাণচন্দ্র রক্ষিত.pdf/২৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ । Sኒዓዓ চৈতন্যসঞ্চারে ভবানী উঠিয়া দেখিলেন, মা আর নাই - তিনি কি অন্তধান হইলেন,-না, ভক্তের অঙ্গে মিলাইলেন ? মুহুৰ্ত্তকাল ভবানী নির্বাক হইয়া চারিদিকে চাহিয়া দেখিলেন। দেখিলেন, তাহার। মুছােভঙ্গের প্রতীক্ষায়, পুরমহিলাগণ ब्रांनभूथ टैंशिद्ध श्रiन फ्रांश्वि। अirछम । 醇 ধীরে ধীরে পূর্বস্মৃতি ফিরিয়া আসিল। ভবানী একটি নিশ্বাস ফেলিয়া বলিলেন, “দয়ারামকে কেহ খবর দাও,-আজই তারাকে এখানে লইয়া আসিবার সবিশেষ বন্দোবস্ত করিতে হইবে ।” • যথাদিনে তারা আসিল।-মুনমুখী কোমল-কলিকা, মলিনবসনে, নিরাভরণা মূৰ্ত্তিতে, মায়ের সম্মুখে আসিয়া দাড়াইল। হায় ! কে নিৰ্ম্মম-কঠিন-পাষাণ-হস্তে জন্মশোধ তাহার সীমান্তের সিন্দুর মুছিয়া দিয়াছে! সে শোভাময়ী সুখ-তারা, ভবানীর হৃদয়াকাশে আর উদয় হইবে না ! অবনতমুখী তারা, কঁদ-কঁাদ মুখে, মায়ের কোল ঘোঁসিয়া দাড়াইল। ভবানী, তখন প্রকৃত ভবানীর ন্যায়, কন্যাকে বক্ষে ধারণ করিয়া, সাহস দিয়া বলিলেন,-“ভয় কি মা ! আমি তোমার আছি !” তারার চোখ দিয়া তখন ফোটা ফোটা জল বরিতেছিল। মায়ের কথা শুনিয়া, এবার কঁাদিতে কঁাদিতে বলিল,-“মা ! সেই জন্যই তা আমি তখন ব’লেছিলাম, আমার আর কোথাও যাইতে ইচ্ছা নাই,-আমি তোমার কাছেই থাকিব।” “তই থাকি ও মা। আমি তোমাকে সঙ্গে লইয়া সৰ্ব্ব তীর্থে ফিরিব।” R8