পাতা:রাণী ভবানী - হারাণচন্দ্র রক্ষিত.pdf/৩১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VO) SR রাণী ভবানী NA A Ahrwerp is Lr ir ir i fra i - * ah agar"*mer vervary হইতে দলে দলে আসিতেছে, যাইতেছে-ইতস্ততঃ ঘুরিয়া-ফিরিয়া হা-হা করিয়া বেড়াইতেছে। যেন কোথাও একটু ছায়া নাই, শীতলতা নাই, পিপাসার একটু জলও নাই ;-প্রখর রবি-তাপ যেন সৃষ্টি ধবংস করিবার উদ্দেশ্যে, ধরা-বক্ষে পতিত হইয়াছে ;- যেন দ্বাদশ-রবি সমুখিত জ্বালাময় উত্তাপে, জীবকুল ঝলসিয়া, জ্বলিয়া, পুড়িয়া মরিবার উপক্রম হইয়াছে। “বৃক্ষবল্লৱী পুষ্পপত্ৰহীন, নিজীব, জীৰ্ণশীর্ণ ও মৃতপ্ৰায়। ধান্যক্ষেত্ৰ শুষ্ক-সাহারায় পরিণত । গো-মহিষাদি জন্তুগণ নিদারুণ যন্ত্রণায় ছটফট করিয়া মরিতেছে। এমন এক এক করিয়া কত জীবই অসহ্য যন্ত্রণার সহিত যুঝিতে যুঝিতে মৃত্যুমুখে পতিত হইতেছে! নির বা নারী, পশু বা পক্ষী, যাহার মুখের দিকে চাহিবে,-সকলেরই এক দশা। প্ৰকৃতির ভিতর হইতে প্ৰাণটুকু যেন চলিয়া গিয়াছে ;-তাই বৃক্ষবল্লৱীতে আর শ্যামলতা নাই, চন্দ্ৰকিরণে সে শীতলতা নাই, ধরা-বক্ষে কোথাও যেন একটু মাধুৰ্য্য নাই ;- আছে কেবল “সারাদেশ ব্যাপিয়া দারুণ উত্তাপ ! সে উত্তাপে দেশ। জলিতেছে। “অনাবৃষ্টি, আবার অন্নকষ্ট ! কৃষক আশাপূর্ণনেত্ৰে আকাশপানে চাহিয়া চাহিয়া চক্ষু মুছিয়াছে ; লাঙ্গল ও বলদ লইয়া চক্ষু মুছিতে মুছিতে গৃহে ফিরিয়াছে। লাঙ্গলে মাকড়সায় জাল বুনিয়াছে। দারুণ উত্তাপে বলদ মরিয়া গিয়াছে। কৃষকের গৃহ অন্নহীন । শত গ্ৰন্থিময় ছিন্নমলিন বস্ত্ৰখণ্ড কোমরে জড়াইয়া কোনরূপে তাহারা লজ্জানিবারণ করিতেছে। গৃহস্থের দুয়ার হইতে অতিথি ফিরিতেছে। পথে পথে ভিখারীর ভিড়। মায়ের কণ্ঠ জড়াইয়া শিশু কঁাদিতেছে ;-হায়! স্নেহময়ীর কোমল বুকে সে স্বৰ্গ-সুধা, কৈ, আর তা নাই ? শুষ্ক-কণ্ঠে শিশু কঁাদিতেছে,