পাতা:রাধারাণী-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S SSDD DBB BBB BBS BB DD DBB BB DD DDD DuS গিয়াছিলাম-ভূবিয়াছিলাম, লোকে রিয়া তুলিল। সে শচীত্রের জন্ত। তুমি যদি বলিতে, । তুমি অন্ধ, তোমার চক্ষু ফুটাইয়া দিব—আমি তাহ চাহিতাম না—আমি শচীশ্র চাহিতাম। . শচীশ্রের অপেক্ষ এ জগতে আর কিছুই নাই—আমার প্রাণ র্তাহার কাছে, দেবতার কাছে ফুলের কলিমাত্ৰ—শ্ৰীচরণে স্থান পাইলেই সার্থক। অন্ধের ছুঃখের কথা শুনিবে কি ?” আমি রজনীর কাতরতা দেখিয়া কাতর হইয়া বলিলাম, “শুনিব ।” তখন রজনী কাদিতে কঁাদিতে, হৃদয় খুলিয়া, আমার কাছে সকল কথা বলিল । শচীন্দ্রের কণ্ঠ, শচীন্দ্রের স্পর্শ, অন্ধের রূপোন্মাদ । তাহার পলায়ন, নিমজ্জন, উদ্ধার, সকল বলিল। বলিয়া বলিল, “ঠাকুরাণি, তোমাদের চক্ষু আছে—চক্ষু থাকিলে এত ভালবাসা বাসিতে পারে কি ?” মনে মনে বলিলাম, “কাণি । তুই ভালবাসার কি জানিস্ ! তুমি লবঙ্গলতার অপেক্ষা সহস্ৰগুণে সুখী।” প্রকাশ্বে বলিলাম, “ন, রজনি, আমার বুড়া স্বামী—আমি অত শত জানি না । তুমি শচীন্দ্রকে তবে বিবাহ করিবে, ইহা স্থির ?” রজনী বলিল, “না।” আমি । সে কি ? তবে এত কথা কি বলিতেছিলে—এত কাদিলে কেন ? রজনী । আমার সে সুখ কপালে নাই বলিয়াই এত কঁাদিলাম । আমি। সে কি ? আমি বিবাহ দিব । রজনী । দিতে পারিবেন না । অমরনাথ হইতে আমার সৰ্ব্বস্ব। অমরনাথ আমার বিষয় উদ্ধারের জন্য যাহা করিয়াছেন, পরের জন্য পরে কি তত করে ? তাও ধরি না, তিনি আপনার প্রাণ দিয়া আমার প্রাণরক্ষা করিয়াছেন । রজনী সে বৃত্তান্ত বলিল। পরে কহিল, “যাহার কাছে আমি এত ঋণী, তিনি আমার যাহা করিবেন, তাহাই হুইবে । তিনি যখন অনুগ্রহ করিয়া আমাকে দাসী করিতে চাহিয়াছেন, তখন আমি তাহারই দাসী হইব, আর কাহারও নহে ।” o হরি । হরি ! কেন বাছাকে সন্ন্যাসী দিয়া ঔষধ করিলাম । বিবাহ ব্যতীতও বিষয় থাকে—রজনী ত এখনই বিষয় দিতে চাহিতেছে । কিন্তু ছি! রজনীর দান লইব ? ভিক্ষা : মাগিয়া খাইব—সেও ভাল। আমি বলিয়াছি—আমি যদি এই বিবাহ না দিই ত আমি কায়েতের মেয়ে নই। আমি এ বিবাহ দিবই দিব। আমি রজনীকে বলিলাম, “তবে আমি তোমার দান লইব না। তুমি যাহাকে ইচ্ছ, তাহাকে দান করিও।” আমি উঠিলাম।