পাতা:রাধারাণী-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৯৯

छूउँौग्न १७:: बर्छ अब्रिटव्हन 纷新 আমি । হাজার হাজার অাছে, কিন্তু বাছিয়া লইব কি প্রকারে ? এই শত সহস্ৰ কস্তার মধ্যে কে আমাকে চিরকাল ভালবাসিবে, তাছা কি প্রকারে বুঝিব? স। আমার একটি বিষ্ঠা আছে। যদি পৃথিবীতে এমত কেহ থাকে যে, তোমাকে মৰ্ম্মান্তিক ভালবাসে, তবে তাহাকে স্বপ্নে দেখাইতে পারি। কিন্তু যে তোমাকে এখন ভালবাসে না, ভবিষ্যতে বাসিতে পারে,তাহা আমার বিষ্ঠার অতীত। আমি। এ বিদ্যা বড় আরশুক বিদ্যা নহে । যে যাহাকে ভালবাসে, সে তাহাকে প্রায় প্রণয়শালী বলিয়া জানে। স। কে বলিল অজ্ঞাত প্রণয়ই পৃথিবীতে অধিক। তোমাকে কেহ ভালবাসে ? তুমি কি তাহাকে জান ? আমি। আত্মীয় স্বজন ভিন্ন কেহ যে আমাকে বিশেষ ভালবাসে, এমত জানি না। - স। তুমি আমাদের বিদ্যা কিছু প্রত্যক্ষ করিতে চাহিতেছিলে, আজ এইটি প্রত্যক্ষ কর । আমি । ক্ষতি কি ? স। তবে শয়নকালে আমাকে শয্যাগৃহে ডাকিও। আমার শয্যাগৃহ বহিৰ্ব্বাটীতে। আমি শয়নকালে সন্ন্যাসীকে ডাকাইলাম। সন্ন্যাসী আসিয়া আমাকে শয়ন করিতে বলিলেন । আমি শয়ন করিলে, তিনি বলিলেন, “যতক্ষণ । আমি এখানে থাকিব, চক্ষু চাহিও না। আমি গেলে যদি জাগ্রত থাক, চাহিও ।” সুতরাং আমি চক্ষু মুদিয়া রহিলাম—সন্ন্যাসী কি কৌশল করিল, কিছুই জানিতে পারিলাম না। সন্ন্যাসী যাইবার পূর্বেই আমি নিদ্রাভিভূত হইলাম। সন্ন্যাসী বলিয়াছিল, পৃথিবীমধ্যে যে নায়িকা আমাকে মৰ্ম্মাস্তিক ভালবাসে, অদ্য তাহাকেই আমি স্বপ্নে দেখিব। স্বপ্ন দেখিলাম বটে। কন্স কন্স গঙ্গাপ্রবাহমধ্যে সৈকতভূমি ; তাহার প্রান্তভাগে অৰ্দ্ধজলমগ্না—কে ? রজনী _ পরদিন প্রভাতে সন্ন্যাসী জিজ্ঞাসা করিলেন, “কাহাকে স্বপ্নে দেখিয়াছিলে ?” জমি। কাণ ফুলওয়ালী। স। কাণ ?