পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ.djvu/৩২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
২৭০
রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ

ছিলেন, তাহাদের অনেকে উপবীত পরিত্যাগ করিলেন; এবং তন্নিবন্ধন গৃহতাড়িত হইয়া নানা অসুবিধা ভোগ করিতে লাগিলেন। ঘরে ঘরে ব্রাহ্মযুবকগণ পৌত্তলিকতার সংশ্রব ত্যাগ করিবার জন্ত কৃতসংকল্প হওয়াতে আত্মীয় স্বজনের সহিত বিরোধ উপস্থিত হইতে লাগিল।

 ১৮৬২ সালের ১লা বৈশাখ দিবসে কেশবচন্দ্র দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক কলিকাতা ঘুমাজের আচার্য্যের পদে বৃত হন; এবং ব্রহ্মানন্দ উপাধি প্রাপ্ত হন। “উক্ত দিবস তিনি স্বীয় পত্নীকে ঠাকুরবাড়ীতে লইয়া যান। তাহার অভিভাবকগণ এ কাৰ্য্যের বিরোধী ছিলেন। কিন্তু তিনি নিজে যে আলোক প্রাপ্ত হইয়াছিলেন, তাহা পত্নীকে দিবার জন্য এতই ব্যগ্র হইয়াছিলেন যে অপরের অনুরাগ বিরাগের প্রতি দৃষ্টিপাত করিবার সমর হইল না। তিনি আপনার অভীষ্ট সাধন করিলেন বটে, কিন্তু কিছুদিনের জন্ত গৃহ হইতে তাড়িত হইতে হইল। * এই অবস্থাতে র্তাহাকে ও তাহার পত্নীকে অনেক দিন দেবেন্দ্রনাথের ভবনে তাহার পুত্র ও পুত্রবধূদিগের মধ্যে বাস করিতে হইল। তাহাতে উভয়ের প্রতিবন্ধন আরও দৃঢ় হইল। তৎপরে স্বীর অভিভাবকদিগের হস্ত হইতে আপনার প্রাপ্য সম্পত্তি উদ্ধার করিতে ও পৈতৃকভব্লনে পুনঃপ্রবেশাধিকার লাভ করিতে কয়েক মাস গেল।

 নিজভবনে প্রবেশাধিকার লাভের পরেই তাঁহার পরিবারে প্রথম ব্রাহ্ম অনুষ্ঠানের অবসর উপস্থিত হইল। র্তাহার প্রথম পুত্র করুণাচন্দ্রের নামকরণ নবপ্রণীত ব্ৰাহ্মপদ্ধতি অনুসারে সম্পন্ন হইল।

 ইহার পরে তিনি উৎসাহ সহকারে ব্রাহ্মধৰ্ম্মপ্রচারে প্রবৃত্ত হইলেন। খ্ৰীষ্টীয় মিশনারিগণের সঙ্গে তুমুল সংগ্রাম বাধিয়া গেল, কয়েক বৎসর পূর্বে কৃষ্ণনগরে গিয়া তিনি যে বক্তৃতাদি করেন, তাহাতেই তত্রতা পাদরী ডাইসন সাহেবের সহিত বিবাদ বাধিয়াছিল, “ যে বিবাদ আর মেটে নাই। খ্ৰীষ্টীয় সংবাদপত্র ও সভাসমিতিতে ব্ৰাহ্মদিগে প্রতি গালাগালি চলিতেছিল। ১৭৬৩ সালের প্রারম্ভে প্রসিদ্ধ খ্ৰীষ্টীয় প্রচারক লালবিহারী দে কর্তৃক সম্পাদিত এক পত্রিকাতে ব্রাহ্মদিগের প্রতি অনেক উপহাস বিদ্রুপ প্রকাশ পায়। তদুত্তরে corbă Brahmo Samaj Vindicated (“stonio পক্ষসমর্থন”) বলিরা এক বক্তৃতা প্রদান করেন। সেই বক্তৃতাতে তাঙ্কার যে বাগিতা প্রকাশ পাইয়াছিল, তাহা দেখিয় শ্রোতৃবৃন্দ চমৎকৃত হইয়া যান। স্বপ্রসিদ্ধ পাদরী ডফ সাহেব উক্ত বস্তু তাতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি পরে বলেন ব্রাহ্মসমাজ