পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ.djvu/৩৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
প্রয়োদশ-পরিচ্ছেদ
২৫৩

বিষয়ে এক বক্তৃত করেন, তাহা হইতে আমরা মিঞ্চম দিয়ে প্রাচীন ইতিবৃত্তের অনেক কথা প্রাপ্ত হই।

 ১৮৭৯ সালে তিনি কলিকাতা পরিত্যাগ করিয়া দেওঘর নামক স্বাস্থ্যকর স্থানে গিয়া বাস করেন। সেখানে গিয়া বাৰ্দ্ধক্য ও শারীরিক হূৰ্বলতা সত্বেও দেশের কল্যাণ চিন্তাতে বিমুখ হন নাই। এখানে অবস্থিতি কালে তিনি *An Old Hindu's Hopes—"floan oltåla, food wroi” atta ইংরাজীতে একখানি পুস্তিক প্রচার করেন। তাছাতে স্বদেশবাসিগণকে এক” মহাহিন্দু-সমিতি গঠন করিতে অনুরোধ করেন। ঐ গ্রন্থ অনেকের দৃষ্টিকে আকর্ষণ করে। বলিতে গেলে তাহাকে পরবর্তী কংগ্রেসের অথবা মহাধৰ্ম্মমণ্ডল নামক সভার পূর্বাভাস বলা যাইতে পারে। তাহাতে যে স্বদেশ ও স্বজাতি প্রেমের উদ্দীপনা দেখা যায় তাহ অতীব স্পৃহণীয়।

 ইহার পরে তিনি তাঙ্গুলোপহার’ নামে বাঙ্গালীতে একখানি ক্ষুদ্রকায় পুস্তিকা প্রণয়ন করেন; এবং সর্বশেষে সারধৰ্ম্মের লক্ষণ বিষয়ে ইংরাজীতে এক পুস্তিক প্রণয়ন করেন। এই পুস্তকে দেখা যায় যে তিনি ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে অতি উচ্চ ও উদার স্থান অধিকার করিয়াছিলেন। আর বস্তুতঃ এই সময়ে তাহার নিকটে বসিলে একদিকে তাহায় ঈশ্বরে প্রগাঢ়,ভক্তি, জুপরদিকে সৰ্ব্বদেশীয় ও সৰ্ব্ব কালের সাধু ভক্তগণের প্রতি প্রগাঢ় শ্রদ্ধা, দেখিয়া বিম্মিত হইতে হইত। এক সময়ে তিনি ভারতীয় আর্য ঋষিগণের বচন উদ্ধৃত করিয়া তাহদের চরণে লুষ্ঠিত হইতেছেন; পরক্ষণেই হাফেজের বচনাবলি উদ্ভূত করিয়া ভক্তিতে গদগদ হইতেছেন; আবার হয়ত তৎপরক্ষণেই মাদাম গেঔর উক্তি সকল উদ্ধৃত করিয়া প্রেমশ্রি বর্ষণ করিতেছেন। তাঁহাকে। দেখিলে মনে হইত যেন তিনি ভক্তি-সুধাবনে ভৃঙ্গের দ্যায়, ফুলে ফুলে মধুপান করাই তাহার প্রধান কাজ।

 এরূপ অবস্থাতে যাহা স্বাভাবিক তাহাই ঘটিয়াছিল। তিনি সকল শ্রেণীর, সকল সম্প্রদায়ের, মানুষের পূজিত হইয়াছিলেন। একবার দেওঘরে উাহাকে দেখিতে যাইতেছি, মধুপুরে গাড়ি থামিলে বৈদ্যনাথের পাণ্ডার উপস্থিত—“মশাই কি বৈদ্যমাথে যাবেন?” উত্তর—“ই যাব।” প্রশ্ন— “আপনার পাণ্ড কে “উত্তর-“রাজনারায়ণ বস্থ।” পাণ্ড হাসিয়া বলিল"ণ্ড ত আমাদের দোসর বৈশ্বনাথ"। তাহার শেষ পীড়ার সংবাদ পাইবাগিং দেখি তাহার শুশ্ৰুষার জন্য একজন খ্ৰীষ্টীয়ান বন্ধু নিযুক্ত আছৈন; এবং“একজন