পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ.djvu/৪৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ।
৩৭৭

দশায়, কলিকাতাবাস কালে, পরোক্ষভাৰে অসত্য ও অসাধুতার প্রশ্ৰয় দেওয়া লইয়া সময়ে সময়ে মহা অশান্তি ঘটিত। একজন জেলের মেয়ে বাড়ীতে মাছ বিক্রয় করিতে আসিয়াছে; डांद्रे হাৰ ভাব দেখিয়া লাহিড়ী • মহাশয়ের বিরক্তি বোধ হইল; পরিবারদিগকে বলিলেন—“ওর স্বভাব চরিত্র ভাল নয় ওকে কেন বাড়ীতে প্রবেশ করতে দেও, ওর কাছে মাছ নিও না।” তাহারা"হয়ত বলিলেন—“পয়সা দেব, জিনিস নেব, তার স্বভাব চরিত্রের সঙ্গে আমাদের সম্বন্ধ কি?” কোন ও লোক কোনও দ্রব্য বিক্রয় করিয়ু গিয়াছে, পরে যদি জানিতে পারিতেন যে সে ঠকাইয়া গিয়াছে বু মিথ্যা বলিয়া, গিয়াছে, তবে তাহাকে আর গৃহে আসিতে দিতেন না, ৰা তাহার নিকট কিছু লইতেন না। পরিবারস্থ ব্যক্তিগণ বলিত,—“জিনিসটার দর ত আমরা জানি, হাতের কাছে পাওয়া যাচ্চে নেওয়া যাকৃ, কে আবার বাজারে যায়।” তিনি বলিতেন,—“ন, তা হবে না,ও অসৎ লোক, ওর সঙ্গে কারবার করা হবে না।”

 আমাদের অনেকের চক্ষে এতটা করা বাড়াবাড়ি মনে इईउ পারে, কিন্তু সত্যপরায়ণত ধার জীবনের মহামন্ত্র ছিল, চিরদিন সৰ্ব্বপ্রযত্বে যিনি সত্যকে রক্ষা করিবার জন্য প্রয়াস পাইয়াছিলেন, তাহার পক্ষে ইছা স্বাভাবিক।

 যাহা হউক, কলিকাতাতে তিনি বিবাদ বিসম্বাদের অতীত হইরা, সৰ্ব্বসাধারণের প্রীতি ও শ্রদ্ধাতে প্রতিষ্ঠিত থাকিয়া, বাস করিতে লাগিলেন। তাহার দ্বিতীয় পুত্র শরৎকুমার এখন হইতে পিতার স্কন্ধের ভার নিজস্কন্ধে লুইবার জন্য বদ্ধ পরিকর হইলেন। নবকুমান্সের মৃত্যুর পর বৃদ্ধ পিতা মাতাকে দেখিবার তার তাহার উপরে পড়িয়া গেল। সহোদর সুহোদরার মৃত্যু, ম্যালেরিরার প্রকোপে বার বার,দেশত্যাগ, পরিবারের ছিন্ন,বিচ্ছিন্ন অবস্থা, এইরূপ নানা প্রতিবন্ধক সত্ত্বেও শরৎ এন্টান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া এল, এ, পড়িবার জন্য সহরে আসিয়াছিলেন। কিন্তু পরিবারের এমনি অবস্থা দাড়াইল যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠা লাভের আশা পরিত্যাগ করিয়া, তাহাকে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের প্রদত্ত তাঁহার কালেঞ্জের লাইবুেরিয়ানের পদ গ্রহণ করিতে হইল। কিন্তু এ পদ গ্রহণ করিয়াও তিনি ত্বরায় অনুভব করিলেন যে, ঐ পদের ৰৈ স্বল্প আয় তাঁহাতে আর কুলাইষ্ট্ৰেল, সহৃদয় বন্ধুগণের উপরে বার বার তার