পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२ ভারত-রহস্ত । তৃষ্ণ ও মুছ হয়, এবং ইহার অন্ত এক আশ্চৰ্য্য ক্ষমতা এই যে, যদি ইহাকে সর্প ফণার উপর স্থাপন করা যায়, তাহা হইলে তৎক্ষণাৎ সেই সপক্ষণ বিদীর্ণ হইয়া যায়। এই খড়েগর ধৌত জলের দ্বারা কুষ্ঠরোগ উপশান্ত হয়। বকুলাঙ্গ খঙ্গের এই এক অসাধারণ লক্ষণ আছে যে, শাণঘর্ষণের সময় উহা হইতে বকুল পুষ্পের গন্ধ নির্গত হয় । এখনকার খঙ্গে আর এ সকল লক্ষণ প্রায় দৃষ্ট হয় না। তাহার কারণ আর কিছু না, কেবল লৌহতত্ত্বজ্ঞ পণ্ডিতের অভাব। লক্ষণাক্রান্ত লৌহ এখন কেহ চিনেন না, সুতরাং লক্ষণাক্রান্ত খড়গও জন্মে না। পূৰ্ব্বকালের লোকের এ সকল বিষয়ে নিপুণ ছিলেন, সন্দেহ নাই । সুতরাং পুরাতন কালের এ সকল কথা নিতান্ত অলীক বা গল্প কথা নহে। সে যাহা হউক, শত প্রকার চিহ্নের মধ্যে কোন কোন চিহ্ন তৎকালে পরিত্যাজ্য বলিয়া নির্ণীত হইয়াছিল, সেগুলিও বলা যাউক । যবচিহ্ন, গোস্কুর চিহ্ন, শিরা চিহ্ন, উপল চিহ্ন, কাকপদ চিহ্ন, কপাল চিহ্ন, ভুবরী ফলচিহ্ন, ভৃঙ্গরাজপুষ্পচিহ্ন, খুর চিহ্ন, জলতরঙ্গ চিহ্ন, মার্জার রোম চিহ্ন, বটারোহ ( বটবৃক্ষের নামনা বা শিকড় ) চিহ্ন, জ্যেষ্ঠ ( গিড়গিটে ) চিহ্ন, জালচিহ্ন (শাণ দিলে যদি রক্তবর্ণ শিখ বহির্গত হয়, তবে এ চিহ্নও ভাল বলিয়া গণ্য ), নিশ্চিহ্ন, স্থূলধার ও আঘাত সহ, কর্কন্দু অর্থাৎ বদরী পত্রের পৃষ্ঠের ন্যায় চিহ্ন ; খড়গশাস্ত্রে এই সকল চিহ্নচিহ্নিত খড়গ পরিত্যাজ্য বলিয়া উক্ত হইয়াছে। পূৰ্ব্বে যে চারি প্রকার রূপের কথা বলা হইয়াছে, এক্ষণে সে সমুদায়ের প্রভেদ বর্ণনা করা যাউক । *. w রূপ । নীলরূপ—যাহার ভূমি অর্থাৎ খেৎ নীলরস, কলায় পুষ্পের কাস্তি, গৃঞ্জন অর্থাৎ গাজোর পুষ্পবৎ আভাযুক্ত, নীলম্ বা নীলকাচের স্তায় আভাযুক্ত, অথবা মরকত মণির দ্যায় কাস্তি,—তাহার সেই সেই কাস্তির নাম নীলরূপ । কৃষ্ণরূপ—খঙ্গের ক্ষেত্রে যদি কাল মেঘ, মসীরস অর্থাৎ সেহাই, কালসপের অঙ্গ, অন্ধকার, কেশকলাপ, কিম্বা ভ্রমরাকার বর্ণ দৃপ্ত হয়, তবে তাহা খঙ্গের কৃষ্ণরূপ । +. পিঙ্গলব্ধপ—খঙ্গের ভূমিতে বা গাত্রে যদি নব বর্ষার ভেকের রঙ, অথবা গোমেদ মণির রঙ প্রতিভাত হয়, তবে তাহ তাহার পিঙ্গলৰূপ ।