পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* * * ভারত-রহস্ত । পিতৃ্যানস্ত বা যৎকৃত্বা দেবযানং বা পন্থানং প্রতিপদ্যন্তে পিতৃযানং বা ?”* אוי জীব যে-কৰ্ম্ম করিলে দেবযানপথে বা পিতৃযানপথে গমন করে, তাহ জান ? “নাহ মত একঞ্চ না বৈদিতি হোবাচ ” এই পাচ প্রশ্নের একটাও জানিনা। “অথন্তু কিং অনুশিষ্টোইবোচথাঃ যোহি ইমান নবিদ্যাৎ কথংস অনুশিষ্টে{হহমিত্যব্ৰবীৎ ?” তবে তুমি কি হেতু বলিলে আমি শিক্ষিত হইয়াছি ? যে ব্যক্তি এই সকল কথা জানে না, সে কি প্রকারে বলিতে পারে যে, আমি শিক্ষিত হইয়াছি ? অতঃপর এতদ্রুপ সতিরস্কার বাক্যে লজ্জিত ও দুঃখিত হইয়া শ্বেতকেতু পুনৰ্ব্বার পিতার নিকট গমন করিলেন এবং তঁহাকে বলিলেন, “আপনি আমাকে কিছুই উপদেশ করেন নাই ; অথচ বলিয়াছিলেন, “আমি তোমাকে সমস্ত জ্ঞাতব্য উপদেশ করিলাম।” আমাকে যে উত্তমরূপ শিক্ষণ দেন নাই, তাহার প্রমাণ এই যে, সেই দুৰ্বত্ত রাজা আমাকে পাচটা প্রশ্ন করিল আমি তাহার একটিরও সিদ্ধান্ত করিতে পারিলাম না ।” অনন্তর তাহার পিত৷ বললেন “বৎস, এই পাঁচ প্রশ্নের সিদ্ধান্ত আমিও জ্ঞাত নহি । জ্ঞাত গা কলে অবশুই আমি তাহ তোমাকে বলিতাম।” এই বলিয়া, তিনি সেই প্রবহণ রাজার নিকট গমন করিলেন। রাজা প্রবাহণ মান্ততম ঋষিকে সমাগত দেখিয়া যথোচিত পূজা করিলেন, অনস্তর বলিলেন, “মহর্ষে ! আপনি মনুষ্য ব্যবহার্য্য প্রচুর ধন প্রার্থন করুন।” ঋষি বলিলেন “রাজন ! তোমার মামুষধন তোমারি থাকুক, আমার তাহতে প্রয়োজন নাই। তুমি যে আমার পুত্রের নিকট প্রশ্ন করিয়াছ, তাহার প্রত্যুত্তর কি, কেবল তাহাই আমি জানিতে ইচ্ছা করি অতএব তাহাই তুমি আমাকে উপদেশ কর।” রাজা এই কথা শুনিয়া মনে করিলেন, ব্রাহ্মণকে প্রত্যাখ্যান করা যায় না, সুতরাং বলিতেই হইবে । কিন্তু ইহা ছায়পূৰ্ব্বক বলা উচিত। ইহ ভাবিয়া তিনি বলিলেন, “তবে এখানে থাকিয়া কিছুকাল ব্রহ্মচৰ্য্য করুন,

  • ছালোগ্য শ্রুক্তিতে এই প্রশ্নটি অস্ত প্রকারে উক্ত হইয়াছে। যথা—“বেথ পথে দেবযানস্ত পিতৃস্থানস্তব ব্যবৰ্ত্তন ইতি " অর্থাৎ দেবযান পথ ও পিতৃধান পথ যে স্থানে গিয়া বিচ্ছিন্ন হইয়াছে, তাই তুমি জ্ঞাত আছ ? একসময়ে দুই ব্যক্তি ইহলোক ত্যাগ করিল, পরস্তু গমনকালে ওহির । একজম দেবযান পথে ও অন্যজন পিতৃযান পথে যা কেন তাহ জান ? কোথা হইতেই বা তাহার , পরম্পর বিচ্ছিন্ন হয় তাছা জান ? -