পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবযান e আপনার আধ্যাত্মিক বল বা ক্ষমতা বৃদ্ধি করেন না, তাহারা উল্লিখিত দুই পথের কোন পথই দেখিতে পান না । তাহার উক্ত পথদ্বয়-ভ্ৰষ্ট হইয়া অনস্ত কালের জন্ত এই স্থানেই—এই পৃথিবীতেই “ক্ষুদ্রাণ্যসক্লাবৰ্ত্তানি ভূতানি ভবস্তি’ ক্ষুদ্রতম প্রাণী হইয় বার বার জন্মেন ও বার বার মরেন । “ষ এতে পন্থানে ন বিস্তুঃ তে কীটাঃ পতঙ্গাঃ যদিদং দন্দশৃকম্‌” উক্ত উভয় পথ ভ্ৰষ্ট জীবেরাই এই পৃথিবীতে কখন কীট, কখন পতঙ্গ, কখন বা দংশ ও মশকাদি রূপে জন্মিতেছে। ইহাদের পুনরুদ্ধার দুর্লভ। উদ্ধার হওয়া দূরে থাকুক, বরং ক্রমে ‘অনন্দ নাম তে লোক অন্ধেন তমসা বৃতীঃ” তাহার এমন নিম্ন লোকে যাইতে থাকে যে, সে সকল লোকে কিছু মাত্র আলোক, কিছু মাত্র জ্ঞান, কিছু মাত্র আনন্দ নাই—নিরস্তরই সে সকল লোক অন্ধতমসে আবৃত আছে । সেই সকল পাপী আত্মারা তামিশ্র, অন্ধতামিশ্র, রৌরব, মহারৌরব, কাল স্বত্র, সঞ্জীবন, অীচি ও মহাবীচি প্রভৃতি ভিন্ন ভিন্ন নরক লোকে যাইতে থাকে, কিছুতেই তাহদের নিস্তার নাই । অতএব আমাদিগের, কেবল আমাদিগের নহে, প্রত্যেক মনুষ্যেরই সদা সৰ্ব্বদা সৎকৰ্ম্মে রত থাকা উচিত । এই ভুলভ মানব জন্ম পাইয়া যদি আমরা আত্মোৎকর্ষ সাধন করিতে না পারি, উপাসনাদির দ্বারা আত্মার উৎকৃষ্ট শক্তি আহরণ করিতে না পারি, তাহা হইলে আমাদিগের নিশ্চয়ই সেই অনন্দলোকে যাইতে হইবে । এই দুর্লভ্য জন্ম পাইয়। যদি জন্মোচিত কাৰ্য্যে পরাখুখ থাকি, কেবল পশিব পরিতৃপ্তির জন্ত ব্যাপৃত থাকি, তাহা হইলে আর আমাদিগের জরা ও মরণাদি যন্ত্রণাময় সংসার হইতে উৰ্ত্তীর্ণ হইবার সম্ভাবনা থাকিবেক না । - এই প্রবন্ধ বহরমপুর থিওসফিকেল সভার বার্ষিক অধিবেশনে পঠিত হইয়াছিল ।