পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$ १९ ভারত-রহস্ত । পুরোহিত অভিষেকের পূৰ্ব্বে কোন এক শুভ দিনে মাস পক্ষ তিথ্যাদির উল্লেখ পূর্বক “করিষ্যমাণ রাজ্যাভিষেকাঙ্গ ঐন্দ্রী শান্তিমহং করিষ্যামি” এইরূপ সংকল্প করিয়া গণপতি পূজা ও হোতা আচার্য ব্রহ্ম সদস্ত এই চতুৰ্ব্বিধ ঋত্বিককে বরণ করিলেন। পরে, “অবাদশ্চ ব্যসশ্চ বিনন্বিস্তামী মায়য় । তাভ্যামুক্তৃত্য বেদমথ কৰ্ম্মণি কৃষ্মহে ।” এই মন্ত্র পাঠ করিতে করিতে দাত্র গ্রহণ করিবেক । পরে কতকগুলি কুশ লইয়া “ঔষঘাত দাতু পৰ্ব্বম’ এই বলিয়। সে গুলির মূলদেশ ত্যাগ করিয়া কিঞ্চিৎ উপরিভাগে ছেদন করিবেক। অনন্তর “গ্রীষ্মন্তে ভূমে বর্ষাণি—” ইত্যাদি মন্ত্র পাঠ করত ভূমিকে নমস্কার করিয়৷ সেই স্থানে বেদী নিৰ্ম্মাণ করিবেক । এই বেদীর মধ্যে কুণ্ড বা স্থগুিল রচনা করিবেক । এই বেণীর উপরে অপর এক মহা বেদী প্রস্তুত করিবেক । কিরূপে বেদী নিৰ্ম্মাণ করিতে হয়, তাহ অনাবশু্যক বোধে লিখিত হইল না । ) এই মহা বেদীর মধ্যে "স্রোধাস্তে ভূমে বর্ষাণি” ইত্যাদি মন্ত্র পাঠসহকারে একটা গৰ্ত্ত খনন করিবেক । সেই গৰ্ত্তটা পুনৰ্ব্বার মৃত্তিক স্তর দ্বারা "যন্তে উনং তত্তে আয়ুঃ – ’ইত্যাদি মন্ত্রপাঠ করত প্রপূরিত করিবেক । অনন্তর এই মহাবেদীর উপরে ‘ত্বমস্ত বপনী জনানাং -’ ইত্যাদি মন্ত্রপাঠ করিয়া বালুক বিস্তৃত করিবেক । ইহাতেও কুণ্ড বা স্থগুিল রচনা করিবেক । এবং প্রথম বেদীর মন্ত্র পাঠ পূৰ্ব্বক রেখা রচনাও করিবেক । ( ইহার প্রত্যেক ক্রিয়াই মন্ত্রপাঠ পূৰ্ব্বক করিতে হয়। সে সকল মন্ত্রও অনুষ্ঠান-প্রকার বর্ণন করিতে গেলে প্রস্তাব কর্কশ হুইবে । নিম্প্রয়োজনে প্রস্তব বাহুল্য ও কর্কশ করা অন্তয় বোধে সে সকল নিঃশেষরূপে উল্লিখিত হইল না এবং মন্ত্রের প্রথমাংশ মাত্র লিখিত হইল। ) রেখারচনা ও তাহার সংস্কার কার্য্য সমাপ্ত হইলে তাহতে শরৎপক ধান্ত ও যব ছড়াইয়া দিবেক । অনন্তর “বেষেন ভূমিঃ পৃথিবী বৃতা—’ইত্যাদি মন্ত্রোচারণ পূৰ্ব্বক জল প্রক্ষেপ করিবেক এবং “যন্ত মন্নং ব্রীহিযবং যম্ভাইমাঃ শঞ্চ কৃষ্টয়ঃ ভূমেই পর্জন্ত পত্ন্যৈ নমোহস্তু বর্যমেধসে ।” এই বলিয়৷ পৃথিবীকে নমস্কার করবেক । অনস্তর “তুমিগ্নে ভূগবো নিষত্তাং—” ইত্যাদিমন্ত্রপাঠ সহকারে অগ্নি আনয়ন করিবেক । কণ্ঠ মন্থন জাত অগ্নি উত্তম ; অসদ্ভাব হইলে অনিষিদ্ধ অগ্নিই গ্রহণ করিবেক । সেই অগ্নি কাংস্তাদি পাত্রে রাখিয় তাহাতে মন্ত্রপাঠ পূৰ্ব্বক ব্রীহি ও যব আছে। সেই দীর্ঘতম সূত্রটা আমরা প্রস্তাব শেষ উদ্ধত করিব। অনেক সংস্কৃত কথা একত্র থাকিলে সংস্কৃতানভিজ্ঞ লোকের প্রস্তাব পঠে অসুখ জন্ম বলিয়াই আমরা সংস্কৃতাংশ অল্প পরিমাণে উদ্ধত করিলাম ।