পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাত্ৰ পূৰ্ব্বমহিমা অনুসন্ধান করা নিষ্ফল নহে। আমরা জানি, অনুসন্ধান দ্বারা আমাদের পূর্বপুরুষগণের অত্যন্ন মহিমা জানিবামাত্র কেমন এক অনিৰ্ব্বচনীয় জাতীয় প্রেম উচ্ছলিত হয় । সেই জন্তই আমি, “ভারত-রহস্ত” নাম দিয়া পুরাতন ইতিবৃত্ত প্রকাশে উৎসুক হইয়াছি। প্রথমতঃ তাহদের যাগযজ্ঞ প্রভৃতি ধৰ্ম্মকাৰ্য্যের ইতিবৃত্ত ও ইতিকৰ্ত্তব্যতা ( প্রণালী ) বর্ণন করিব, পশ্চাৎ অন্তান্ত রহস্ত, যাহা এখন লুপ্তপ্রায় হইয়াছে, সে গুলির বর্ণনা করিব। বৈদিক সময়ে দুই শ্রেণীর যজ্ঞ ছিল । দধি, দুগ্ধ, স্থত, এবং পুরোডাশ প্রভৃতি পিষ্টক আহুতি দিয়া এক প্রকার ; আর সোমরস আহুতি দিয়া দ্বিতীয় প্রকার । প্রথম প্রকারের নাম “হবিৰ্ষজ্ঞ,” দ্বিতীয় প্রকারের নাম “সোম-যজ্ঞ’ বা “সেমযাগ’ । হবিৰ্যজ্ঞের পরে সোম-যজ্ঞ আবিষ্কৃত হয় । ইহার প্রমাণ অথৰ্ব্ববেদে আছে। অথৰ্ব্ব বেদের গোপথ ব্রাহ্মণে লিখিত আছে, ভূগু ও অঙ্গির ঋষিই প্রথমে সোম-যজ্ঞ মনোনীত করেন। হবিৰ্ষজ্ঞ অনেক প্রকার, এবং সোম-যজ্ঞও অনেক প্রকার। কৃষ্ণ যজুৰ্ব্বেদের প্রথম কাণ্ডে যজ্ঞসমূহের নাম আছে এবং ঐ বেদে তত্ত্বতের ৰিধিও আছে। কিন্তু ব্রাহ্মণ-ভাগে যাহা আছে তাহ কিছু বিস্পষ্ট। ফল, যজুৰ্ব্বেদের প্রচার সময়েই সমুদায় যজ্ঞের প্রাচুর্ভাব হয়, ঋগ্বেদের সময়ে কেবল অস্থর মাত্র ছিল। প্রাচীন লোকেরা সেই জন্তই “ক্রেতায়াং যজ্ঞ উচ্যতে বলিয়া থাকেন। . . .