পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতীয়-যুদ্ধরহস্ত । 83 নিস্কের অধিক নহে। যিনি সহস্ৰ অশ্বারোহী সৈঙ্গের অধিনায়ক তাহাকে সহস্র নিষ্ক বেতন প্রদান করা কৰ্ত্তব্য । শিক্ষিত ও কৃতযুদ্ধ পদাতি সৈন্তের বেতন পাচ সুবর্ণ * এবং শত পদাতির অধিপতির বেতন ৭ বৰ্ব্ব হওয়া উচিত । - অশ্বনায়ক, হস্তিশিক্ষক, সারথি, চিহ্ননিয়মক, চক্ররক্ষক, তিন শত পদাতি সৈন্তের অধিপতি, পথপ্রদর্শক ও পথভিজ্ঞ, উ চর, বাৰ্ত্তাজীবী বা চরের অধিপতি, বেত্ৰধারীদিগের নিয়ন্তা, স্থত, মাগধ ও স্তুতিপাঠকদিগের অধ্যক্ষ, বীবধ, গঞ্জের নায়ক, সেনাগণের বেতনদাতা, সৈন্ত গণনাকারক ( যিনি সৈন্ত্যগণের তালিকা রাখেন ),–এই সকল ব্যক্তিকে প্রতি মাসে দশ ও পাচ অর্থাৎ পঞ্চদশ বৰ্ব্ব পৰ্য্যন্ত বেতন প্রদান করা উচিত । যাহা বলা হইল তাহা একটা সাধারণ উল্লেখ মাত্র । বস্তুতঃ কাৰ্য্য, কুল, পদমর্য্যদা ও অবস্থা অনুসারেই পূৰ্ব্বোক্ত ব্যক্তিগণের এবং অন্যান্ত সৈন্তগণের বেতন কল্পনা কর কৰ্ত্তব্য বলয় অভিহিত হইয়াছে । এক্ষণকার দ্যায় পূৰ্ব্বকালে ও বৃত্তিদান বা “পেন্দন” দিবার রীতি ছিল । প্রত্যেক রাজশাস্ত্রে বিশেষতঃ নীতিপ্রকাশিক নামক গ্রন্থে উহার বিশেষ ব্যবস্থা দৃষ্ট হয়। যথা— “যুদ্ধে স্বাৰ্থং মৃত যেচ শত্রুভিস্তৎস্ববন্ধুষু | সেবয়া জীবিত যে চ দেয়ং তেষাং হি জীবনম্। মৃতানাং জীবতাঞ্চাপি পূৰ্ব্বং সেবাপরাত্মনাম। তদীয়ানাস্তু তেষাং বা পূৰ্ব্বমস্তাদ্ধজীবনম্ ॥ সংগ্রামেইভিমুখা: কৃত্ত যুবানো ন মৃত ভটাঃ । রাজসেবাশ্বশক্ত যে তেষাং পূৰ্ব্বাদ্ধজীবনম্। শত্ৰণামুপঘাতাৰ্থং তস্য মৰ্ম্মাণি যোংপয়েৎ । স্বস্মৈ তস্তাপি কৰ্ম্মণ্য দ্বিগুণ পরিকীৰ্ত্তিত ৷ শক্রসেনাধিভেত্তারং দুর্গারোহণতৎপরম্। স্বরাজ্যবৃদ্ধিকৰ্ত্তারং যোজয়েৎ দ্রবিণোৎকরৈঃ ॥" যে ব্যক্তি রাজার স্বার্থ সংসাধন করিতে গিয়া শক্র কর্তৃক যুদ্ধে মৃত হইবে,

  • ইহাও এক প্রকার মুদ্র । ৮. রতিওজনের মুদ্রিত কাঞ্চম খণ্ডকে পুৰ্ব্বে স্ববর্ণ বলিত । নিষ্কও পুৰ্ব্বকালের স্বর্ণ মুদ্র ।