পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতরণিক । به /ره সভ্য ও সমৃদ্ধ হইয়াছিল, ইহা অখণ্ডনীয় অনুমান । এই অনুমান বোধ হয় কোন কালেই অন্যথা হইবে না। ভারতবর্ষই অদিম সভ্যস্থান, ইহা প্রতিপন্ন করিবার জন্ত অনেকে অনেক প্রকার প্রমাণের উল্লেখ করিয়া থাকেন ; পরস্তু আমাদের বিবেচনায়, অন্য কোন প্রমাণের প্রয়াস না পাইয় একমাত্র রত্নশাস্ত্র দেখাইয়া দিলেই তৎসম্বন্ধে যথেষ্ট প্রমাণ দেওয়া হয়। কেননা রত্নের অাদর, রত্বের প্রশংসা, রত্নের গুণদোষ-নির্বাচন ও রত্বের পরীক্ষা, এই ভারতবর্ষ হইতেই অন্যান্ত দেশের লোকের শিক্ষা করিয়াছে ; ইহা সম্পূর্ণরূপে সপ্রমাণিত করা যাইতে পারে। কোন দেশের কোন ভাষায় পঞ্চসহস্ৰাধিক বর্ষের রত্নশাস্ত্র আছে ? যদি থাকে ত সে দেশ এই ভারতবর্ষ এবং সে ভাষা এই ভারতবর্ষের সংস্কৃত । ঋগ্বেদ অপেক্ষ প্রাচীন গ্রন্থ আছে কি না, সন্দেহ। তাদৃশ ঋগ্বেদকেও আমরা রূপক বিধায় ও দৃষ্টান্তক্রমে রত্রের সমাদর করিতেছি। - সুতরাং ঋগ্বেদের সময়েও যে ভারতে সভ্যতার ও সমৃদ্ধিশালিতার সঞ্চার হইয়াছিল, তৎপক্ষে কোন ংশয় জন্মিতে পারে না । যোগশাস্ত্রের মধ্যে একটি স্বত্র দৃষ্ট হয়। যথা— “অপরিগ্রহস্থৈৰ্যো সৰ্বরত্নোপস্থানম্।” ७ई श्रृंखछे दई পুরাতন । ইহার দ্বারাও সপ্রমাণ করা যায় যে, এদেশেব যোগ-চৰ্চার সময়ে ও রত্নশাস্ত্রের প্রচার ছিল । মহাভারত এদেশের গতি পুরাতন বস্তু। সেই মহাভারতে ব্যাসদেব বৃহস্পতি ও অমর-গুরু শুক্রকে প্রধান ও পুরাতন নীতিশাস্ত্রকার বলিয়া বর্ণনা করিয়াছেন । সেই বাস-মান্ত পুরাতন শুক্রনীতি অদ্যপি বর্তমান আছে, + "অগ্নিমেড়ে পুরোহিতম্ যজ্ঞস্য দেবমূত্বিজম্। হোতার রত্নধাতমম্।।” [ ঋগ্বেদ। “অন্নপাশেন মশিন প্রাণ সূত্রেণ পৃশ্বিনা ।” [ ঋক “মশিন রত্নভূতেন আত্মন ইতি তন্তুাষ্যম্ ” + এবং শুক্রেহব্রৰীদ্বীমানাপংকু ভরত্যভ।” “উশনৈিশ্চব গাথে দ্ধে প্রস্থলদায়াত্ৰবীৎ পুর৷ ” “অপিচোশনস। গীতঃ শ্রীয়তেইয়ং পুরাতনঃ ” "গণকেশনস গীত ইমা: শৃণু ময়েরিত।”