পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রত্ন-রহস্ত । 创曾 একাবলী নাম যথেষ্টসংখ্যা হস্তপ্রমাণ মণিবিপ্রযুক্ত । ংযোজিত যা মণিনা তু মধ্যে যষ্টীতি স ভূষণবিদ্ভিরাক্ত ॥ ইত্যাদি । এই স্থানেই রত্নরহস্তের “মুক্ত” প্রস্তাব সমাপ্ত হইল। শাস্ত্রাস্তরে এতদপেক্ষা অধিক কথা থাকিলেও তাহ বাহুল্যভয়ে গ্রহণ করা হইল না । মুক্তাবলী নামক গ্রন্থে মুক্তার অনেকগুলি নাম একত্র পর্য্যায়বদ্ধ হইয়াছে। যথা— “অস্তঃসারং শৌক্তিকেয়মিদুরত্বঞ্চ মৌক্তিকম।” এইরূপ হেমচন্দ্রও মুক্তার ও যুক্তাহারের নাম সকল পৰ্য্যায়বদ্ধ করিয়া গিয়াছেন। এ সকল দেখিলে কাহার না বোধ হয়, যে পূৰ্ব্বে ভারতবর্ষীয়ের প্রচুর ধনশালী ছিল ? এবং মুক্তকে অতি সমাদরে ও সযত্নে ব্যবহার করিত ? মুক্ত যখন অতি মূল্যবান বস্তু, তখন ইহার গুণাগুণ অনুসন্ধান করা অবস্থা কৰ্ত্তব্য। অতি প্রাচীনকালে ইহার যেরূপ পরীক্ষাদি করা হইত, তাহ প্রায় সমস্তই এই “মুক্ত” প্রস্তাবে বলা হইল। এক্ষণে অন্যান্য রত্নসম্বন্ধে পুরাতনী পরীক্ষা কিরূপ রীতিতে বর্তমান ছিল তাহার অনুসন্ধান করা যাউক । মাণিক্য বা পদ্মরাগমণি * । পূৰ্ব্বোক্ত নবরত্নবোধক কবিতার ক্রম অনুসারে অগ্রে মুক্তারত্বের বিবরণ লেখা হইয়াছে। এক্ষণে মাণিক্য নামক রত্নের বর্ণনায় প্রবৃত্ত হইলাম । “এক মাণিক সাত রাজার ধন” এই নারী-প্রবাদ একবারে অসত্য মনে করিবেন না। পূৰ্ব্বকালের অনেক রাজ ( এক্ষণেও বটে ) কেবলমাত্ৰ শস্ত ও পশুসম্পত্তি লইয়াই রাজাভিমান চরিতার্থ করিতেন । মণি মাণিক্য যে তাহদের নিকট দুর্লভ ছিল, তাহ বলা বাহুল্য। এমন কি সুবর্ণও তাহদের নিকট তুর্লভ

  • অমরসিংহ ও হেমচন্দ্র প্রভৃতি শাব্দিকাচার্য্যের পদ্মরাগ ও মাণিক্যকে এক পর্যায়ে উল্লেখ করিয়াছেন, সুতরাং পদ্মরাগমণি বা মাণিক্য একই বস্তু তবে যে তন্ত্রসারকার, “মুক্তা-মাণিক্যবৈদূৰ্য্য-গোমেদান বজ্রবিক্রমে। পদ্মরাগং মরকতং নীলঞ্চেতি যথাক্ৰমাৎ " বলিয়াছেন তাহার BB BBBB S BBBB BB BBB BB BB BBB BBBB BBBBD BBB BB BBB নাম স্বীকার করা যায় । শুক্রনীতিগ্রন্থেও ‘পদ্মরাগন্তু মাণিক্যভেদঃ কোকনদচ্ছর্বিঃ ” এইরূপ উক্তি আছে। অতএব মাণিক্য শব্দটী সাধারণ মাম, বর্ণের পার্থক্য অনুসারে পদ্মরাগ তাহার বিশেষ নাম । তদ্ভিন্ন উহার কুরুখিন্দ প্রভৃতি আরও নাম ও প্রভেদ আছে। সে সকল বিবরণ প্রস্তাবমধ্যে প্রকাশিত আছে ।

え>>