পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রত্ন-রহস্ত । 8建 লোহিতক ও পদ্মরাগ,—এই তিন নামের উল্লেখ করিয়াছেন। হেমচন্দ্রও ইহার পদ্মরাগ, লোহিতক, লক্ষ্মীপুষ্প ও অরুণোপল,—এই চরিট নামের উল্লেখ করিয়াছেন এবং অন্তান্ত কোষকারেরাও ইহার আরও কএকটী নাম পৰ্য্যায়ভুক্ত করিয়া উল্লেখ করিয়াছেন । সুতরাং ইহার সর্বসমেত চৌদ্দটা নাম আছে। যথা— মাণিক্য’ ১, “শোণরত্ন” ২, “রত্বরাজ” ৩, ‘রবিরত্ন” ৪, “শৃঙ্গারী” ৫, “রঙ্গমাণিক্য” ৬, “তরুণ” ৭, “রাগযুক্‌” ৮, “পদ্মরাগ” ৯, “রত্ন” ১০, “শোণোপল’ ১১, “সৌগন্ধিক’ ১২, “লোহিতক’ ১৩, “কুরুবিন্ধ” ১৪ । কল্পদ্রুম অভিধানে এই ১৪টা নামের উল্লেখ আছে। রত্নশাস্ত্রোক্ত এই সকল নামের মধ্যে ২৪৷৬৭৮৷৯১১৷১৩ নামগুলি বর্ণঘটিত । বিশেষ ১১ অর্থাৎ শোণোপল নামটীতে উহার বর্ণ ও স্বরূপ স্পষ্টতঃ প্রকাশিত আছে । শোণোপল অর্থাৎ রক্তবর্ণ প্রস্তর। “রক্তবর্ণ প্রস্তরই মাণিক্‌” এই কথা বলিলাম বলিয়, যে সে রাঙ্গা পাথর মাণিক নহে। রত্নশাস্ত্রে ইহার বিশেষ বিশেষ লক্ষণ ও পরীক্ষাদি নিণাত আছে। সেই সকল লক্ষণাদিযুক্ত প্রস্তরবিশেষই মাণিক্য । রত্নশাস্ত্রে মাণিক্য নামক রত্নের যেরূপ লক্ষণদি নির্ণীত আছে, তদনুসারে বোধ হয় যে, “চুণী” নামক প্রস্তরকেই পুৰ্ব্বকালের লোকের “মাণিক্য” নামে অভিহিত করিত ¥ । পুরাণাদি শাস্ত্রে রত্নোৎপত্তির বিষয় যেরূপ লিথিত আছে, তাহার অন্তস্তত্ত্ব আমাদের বোধগম্য হয় না । লিখিত আছে যে, বল নামে এক অসুর ছিল, তাহার বিশুদ্ধসত্ত্বসম্পন্ন অবয়ব সকল রয়োৎপত্তির কারণ ৷ ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক প্রকার প্রলপকল্প গল্প আছে । সেই সকল প্ৰলাপকল্প গল্পের দ্বারা অমর। রত্নোংপত্তির মুলতত্ত্ব গ্রহণ করিতে অসমর্থ। কিন্তু রত্নশাস্ত্রে এমন দুই একটা কথার উল্লেখ আছে যে, তদনুসারে অতি সামান্তাকারে রত্নোৎপত্তির বীজ-ভাব গ্রহণ করিতে পারা যায়। রত্নোৎপত্তির মুলকারণসম্বন্ধে রত্নশাস্ত্রে তিন প্রকার মতের আভাস পাওয়া যায়। যথা—

  • আধুনিক রত্নপরীক্ষকেরাও (জহরীর ) বলেন যে, চুণী মাণিক আর মাণিক্য এক বস্তু । তাহারা আরও বলেন যে, চুণী নরম, চুণী স্যামৰ্ম্মেৎ, চুণী কড়া ও চুণী মাণিক্‌, এই চারি রকমের চুণী আছে। প্রাচীনকালে সংস্কৃত রত্নপরীক্ষাগ্রন্থেও পদ্মরাগ ও কুরুবিন্দ প্রভৃতি চারি প্রকায় মাণিক্যের উল্লেখ দৃষ্ট হয় ।

ఇళి