পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8Łr রত্ন-রহস্ত । "গুরুত্বং স্নিগ্ধতা চৈব বৈমল্যমতিরক্ততা ।” যুক্তিকল্পতরু । গুরুত্ব অর্থাৎ ওজনে ভারি । স্নিগ্ধত অর্থাৎ স্নেহাক্তের ভাব । বৈমল্য অর্থাৎ নিৰ্ম্মলতা। অতিরক্ততা অর্থাৎ অসাধারণ রক্তবর্ণের ভাব । এই রক্তবর্ণের ভাবটী ছায়া-জ্ঞান ব্যতীত বোধগম্য হইতে পারে না । পদ্মরাগ বা মাণিক্য মণির ছায়া কি ? তাহ পশ্চাৎ বলা যাইবে । ফল, উপরোক্ত গুণ থাকিলেই তাহা উৎকৃষ্ট মাণিক্য বলিয়া গৃহীত হইবে । এই কয়েকটা মণি-গুণ গ্রন্থ স্তরে অতি স্পষ্টরূপে উক্ত হইয়াছে। যথা— “বর্ণধিক্যং গুরুত্বঞ্চ স্নিগ্ধতা চ তথাচ্ছত । অর্চিষ্মত্ত মহত্ত চ মণীনাং গুণসংগ্ৰহ: ॥” কল্পদ্রুম । বর্ণের আধিক্য অর্থাৎ সৰ্ব্বাপেক্ষ উৎকৃষ্টবর্ণযুক্ততা । গুরুত্ব অর্থাৎ ভারগত আধিক্য । স্নিগ্ধতা—দৃষ্ঠে মেহম্রক্ষিতের ন্তায় অর্থাং লাবণ্যযুক্ত। অচ্ছতা— নৈৰ্ম্মল । অচিন্মত্তা-তেজ বা দীপ্তিমত্তা। মহত্তা—বৃহতের ভাব। ( অর্থাৎ যে মণি যত বড় সে ততই উৎকৃষ্ট । এই জন্ত মহত্তা একটী প্রধান গুণ ) । ইহাই মণি সকলের গুণের সংগ্রহ । অর্থাৎ এই সকল গুণ মণিমাত্রেরই থাকা আবগুক। এতদ্ভিন্ন বিশেষ বিশেষ গুণ সকল প্রসঙ্গক্রমে ব্যক্ত হইবেক । বৃহৎসংহিতাকার বলেন যে,— “সৌগন্ধিককুরুবিন্দস্কটকেভ্যঃ পদ্মরাগসস্থতিঃ । সৌগন্ধিকজ ভ্রমরাঞ্জনাজজম্বুরস্যুতয় ॥ কুরুবিন্দুভবাঃ শবলা মন্দ্যুতয়শ্চ ধাতুভিৰ্ব্বিদ্ধাঃ । স্ফটিকভৰা ব্যুতিমস্তোনানাবর্ণ বিশুদ্ধাশ্চ । স্নিগ্ধ প্রভানুলেপী স্বচ্ছোইৰ্চিষ্মান গুরুঃ মুসংস্থান: । অস্তঃপ্রভোইতিরাগো মণিরত্নগুণা: সমস্তানাম ॥” সৌগন্ধিক, কুরুবিন্দ ও স্ফটিক হইতে পদ্মরাগ মণি উৎপন্ন হয়। তন্মধ্যে সৌগন্ধিকজাত পদ্মরাগ সকল ভ্রমর, অঞ্জন, অঙ্গ ও জঘুরসের দ্যায় স্থতিবিশিষ্ট এবং কুরুলিভব পদ্মরাগ সকল অল্পহাতি ও ধাতুবিদ্ধ হইয়া থাকে। আর স্ফটিকের পরিণামে যে পদ্মরাগ জন্মে তাহ মানাবর্ণ ও বিশুদ্ধদীপ্তিযুক্ত হয়।