পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রত্ন-রহস্ত । 4t。 মধুবিন্দুসম শোভা কোকিলানাং প্রকীৰ্ত্তিত । তেষাঞ্চ বহুভেদাং স্থান তে ধাৰ্য্যা কদাচন ৷” যে মণির বর্ণ বা ছায়া দ্বিবিধ ( কোন দিকে অল্প কোন দিকে অধিক কিংবা এক দিকে একপ্রকার ও অন্ত দিকে আর এক প্রকার )—তাহ হানিজনক । যাহার উভয় দিকে পক্ষিপদাকার দাগ থাকে—তাহ পরাভবের হেতু । অন্তরে ভাঙ্গা বা ছিদ্র থাকিলে তাহ যুদ্ধমৃত্যুর কারণ এবং কর্কর অর্থাৎ কাকরদার হইলে তাহ ধনধান্যাদি নাশের হেতু। এবং যাহা কৃঞ্চলিপ্তের ন্যায় তাহ দুঃখদায়ক BBB BBmS BBB BBB BBBBB BBBB BBBBYS BBB BBB মাণিকো মধুর ছিটার ন্যায় দাগ থাকে এবং তাহ অনেক প্রকার হইয় থাকে । সে সকল মাণিক্যও ধারণের অযোগ্য । পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে যে, ছায়া অনুসারে একই মাণিক্য ভিন্ন ভিন্ন নামে ব্যবহৃত হয় ; কিন্তু ছায়া কি ? এবং তাহার কোন সাদৃশ্য আছে কি না, তাহ বলা হয় নাই । এজন্য তাহা অগ্রে ব্যক্ত করিব, পশ্চাৎ তাহার দোষ, গুণ, পরীক্ষা এবং মূল্যাদির নিয়ম যথাক্রমে বিবৃত করিব । ছায় বা বর্ণ। মুক্ত কিংবা মাণিক্য অথবা অন্য যে কোন রত্ন হউক অগ্রে তাহদের বর্ণ বিশেষ ( রঙ, ) নির্ণয় করা আবশ্যক। রত্নশাস্ত্রে তাহ “বণ” “ছায়া” “ত্বিট” “ভাস” “ আভা’ প্রভৃতি নানা নামে উল্লিখিত হইয় থাকে। পরস্তু বর্ণ ও ছায়া এই দুইটি ঠিক এক নহে, কিঞ্চিৎ প্রভেদ আছে। সে প্রভেদ টুকু শুক্রনীতি গ্রন্থে বর্ণিত আছে। ফলতঃ, ব্যবসায়ী ভিন্ন অন্য ব্যক্তি তাহ সহসা বোধগম্য করিতে পারেন না ; যথা— رS* “বর্ণা: প্রভাঃ সিতা রক্ত পীতকৃষ্ণাস্তু রত্নজা: | যথাবর্ণং যথাচ্ছায়ং রত্নং যদোষবর্জিতম্ ॥ শ্ৰীপুষ্টকীৰ্ত্তিশৌর্য্যায়ুঃপ্রদমন্যাদসৎ স্মৃতম্। বর্ণমাক্রমতে ছায় প্রভা বর্ণপ্রকাশিনী ॥” - শুক্রনীতি । ইহার যথাশ্রত অর্থ এই যে, রত্নজীত বর্ণ বা প্রভ শুভ্র, রক্ত, পীত, কৃষ্ণ ও পীতমিশ্রিত কৃষ্ণ,—এই কয়েক প্রকার হয় । বর্ণহান না হয়, প্রভাহীন না হয়, কোন প্রকার দোষ না থাকে, এরূপ রত্ন ধারণ করিলে শ্ৰী, পুষ্টি, কীৰ্ত্তি ও శిశి