পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রত্ন-রহস্য । ** শক্রমধ্যে বাস করিলেও এবং অসাবধান অবস্থায় অবস্থান করিলেও গুণসম্পন্ন পদ্মরাগমণির ধারণকৰ্ত্ত কদাপি আপদগ্ৰস্ত হয় না। প্রধান প্রধান গুণযুক্ত পদ্মরাগ মণি যদি শুচি ও যত্নবান হইয়া ধারণ করা যায়, তাহা হইলে দোষ ও উৎপতিসম্ভব কোন প্রকার আপদ উপস্থিত হইতে পরে মা । “অস্তঃ প্রভত্বং বৈমল্যং সুসংস্থানত্বমেব চ। সুধার্য্য নৈব ধৰ্য্য(স্ত্র নিম্প্রভা মলিনাস্তথা ॥ অগ্নিপুরাণ। যাহার অভ্যন্তর হইতে প্রভামগুল ছুরিত হয়, যাহা নিৰ্ম্মল, যাহার গঠন সুন্দর, সেই সকল মণি ধারণ করিবেক । যাহার প্রভা নাই, যাহা মলিন, তাহ ধারণ করিবে না । পরীক্ষা | পদ্মরাগ বা মাণিক্যকে একপ্রকার হীরক বলিলেও বলা যায় ; সুতরাং হীরক পরীক্ষাকালে ইহার স্বাক্ষামুস্তক্ষ্ম পরীক্ষা প্রকটত হইবে। এক্ষণে সীমান্ত করে কেবলমাত্র জাত্য ও বিজাতীয়, এই দুই প্রকারের ভেদবোধক পরীক্ষা ব্যক্ত কর । যাইতেছে।

  • ব{লার্ককরসংস্পশীং যঃ শিখাং লোহিতাং বমেৎ । রঞ্জয়েদাশয়ং বাপি স মহাগুণ উচ্যতে ॥” নবেদিত স্বৰ্য্যের কিরণম্পর্শে যে পলুরাগ মণি রক্তবর্ণ শিখা উদ্বমন করে অর্থাৎ যাহা হইতে রক্তিম আভা ছুরিত হয়, কিংবা যাহার অধীরস্থান রক্তবর্ণে রঞ্জিত হয়, সেই পদ্মরাগমণি মহা গুণশালী ।

“দুগ্ধে শতগুণে ক্ষিপ্তে রঞ্জয়েৎ য: সমস্ততঃ । বমেচ্ছিথং লোহিতাং বা পদ্মরাগ: স উত্তমঃ ॥” শতগুণ দুগ্ধে নিক্ষিপ্ত করিলে যে পদ্মরাগমণি তৎসমস্ত দুগ্ধকে রক্তবর্ণ করে কিংবা রক্তবর্ণ শিখ বমন করে, সেই পদ্মরাগই উৎকৃষ্ট । “অন্ধকারে মহাঘোরে যে দ্যস্ত: সন মহামণি । প্রকাশয়তি সুৰ্য্যাভঃ স শ্রেষ্ঠঃ পদ্মরাগকঃ ॥” যে মহামণি ঘোর অন্ধকারে রক্ষিত হইলেও সুর্য্যবং প্রকাশ প্রাপ্ত হয় এবং অন্ত বস্তুকেও প্রকাশ করে, সেই পাগই শ্রেষ্ঠ । ३२१