পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

,*R রত্ন-রহস্ত । করিয়া গিয়াছেন, কিন্তু এক্ষণে তাহার অনেক অন্যথা হইয়া গিয়াছে। এখন গরজ বুঝিয়া দর ; এবং যে যাহার নিকট যত লইতে পারে সে তত লয়। পূৰ্ব্বে এরূপ অবস্থা ছিল না। প্রায় সকল বস্তুরই এক একটা মূল্যের নিয়ম ছিল। পূৰ্ব্বকালে কিরূপ নিয়মে ও কিরূপ মূল্যে মাণিক্যরত্নের ক্রয় বিক্রয় নিষ্পত্তি হইত, তাহী ক্রমে প্রদর্শিত হইতেছে। “বালার্কাভিমুখং কৃত্বা দর্পণে ধারয়েন্মণিম্। তত্ৰ কাস্তিবিভাগেন ছায়াভাগং বিনিদিশেৎ ৷” প্রাতঃকালে নবেদিত স্থৰ্য্যের অভিমুখে দর্পণের উপর মণিটি রাখিবেক । রাখিয়া মণির কাস্তির প্রভেদ স্থির করিবেক । স্থির করিয়া ছায়া বা কাস্তি অনুসারে নির্দিষ্ট মূল্যের তারতম্য নির্ণয় করিবেক । ( এ নিয়ম আমরা বিশেষরূপে জ্ঞাত নহি এবং এক্ষণকার মণিকারেরাও জ্ঞাত আছেন কি না সন্দেহ । ) নির্দিষ্ট মূল্য কি ? তাহ ব্যক্ত করা যাইতেছে। যথা— “বজ্রস্ত যত্তণ্ডুলসংখ্যয়োক্তং মূল্যং সমুদ্মপিতগৌরবস্ত । তৎ পদ্মরাগস্ত গুণান্বিতন্ত স্তন্মষকাখ্যা তুলিতস্ত মূল্যম্ ॥” অর্থ এই যে, এক তণ্ডুল গুরু হীরকের যে মূল্য, এক মাষা পরিমাণ উৎকৃষ্ট পদ্মরাগের সেই মূল্য । “যন্মল্যং পদ্মরাগস্ত সগুণন্ত প্রকীৰ্ত্তিতম্। তাবল্যং তথা গুদ্ধে কুরুবিন্দে বিধীয়তে ॥” গুণযুক্ত অর্থাৎ উত্তম পদ্মরাগের যে মূল্য বলা হইল, বিশুদ্ধ “কুরবিন্দ” মণিরও সেই মূল্য বিহিত আছে। “সগুণে কুরুবিন্দে চ যাবন্ম ল্যং প্রকীৰ্ত্তিতম্। তাবন্ম ল্যচতুর্থাংশহীনং স্তাদ মুগন্ধিকে ॥” উৎকৃষ্ট কুরুবিন্দের যে মূল্য বলা হইল, “দৌগন্ধিক” মাণিক্যের মূল্য তাহার এক চতুর্থাংশ নুনি হইবেক । “যাবমূল্যং সমাখ্যাতং বৈশুবর্ণে চ রিভিঃ। তাবন্ম ল্যচতুর্থাংশং হীনং স্থাৎ শূদ্ৰজন্মনি।” রত্নতত্ত্ববিৎ পণ্ডিতেরা “সৌগন্ধিক” মণির যে মূল্য অবধারিত করিয়াছেন, শুদ্রবর্ণের মণি অর্থাৎ মাংসখণ্ড বা নীলগন্ধি মণির মূল্য তাহার এক চতুর্থাংশ হীন । ২৩ং