পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'38 ভারত-রহস্ত । ধন্থ,- এটা অস্ত্র নহে ইহা অস্ত্রক্ষেপক যন্ত্র। ইহার বৃত্তান্ত ধমুৰ্ব্বেদ-নামক স্বতন্ত্র প্রস্তাবে বলা যাইবে । ইষু—ইহা একটি ধনুঃক্ষেপ্য অস্ত্রের সাধারণ নাম। যাহা তীর বলিয়া প্রসিদ্ধ তাহাই ইষু। ইহার বাণ, শর, খগ ও শায়ক প্রভৃতি অনেক নাম আছে। পূর্বকার লেখা দেখিলে জনা যায় যে, ইহা ৪০০ হস্ত পরিমাণ দূরে সবেগে যাইত। “নল্লামাত্রগতিস্তু স:- [নীতি-প্র-৪ অ ] বাণের ৪• • হাত গতি হওয়া বড় সহজ নহে ; অনেক বন্দুকের গতিও ৪০০ হাত হয় কি না সন্দেহ । শাঙ্গ ধর লিথিয়াছেন যে, শিক্ষার সময় ৬০ ধন্ত, ৪০ ধন্থ, অথবা ২০ ধমু পরিমিত দূরে লক্ষ্য রখিয় তাহা বিদ্ধ করিতে শিখিবেক । যথা— “ষষ্টিধন্বন্তরে লক্ষ্যং জ্যেষ্ঠ লক্ষ্যং প্রকীর্ভুিতম্। চত্বারিংশষ্মধ্যমঞ্চ বিংশতিশ্চ কনিষ্ঠকম্।” ভিনিপেলি-ইহা এক প্রকার হস্তক্ষেপ্য অস্ত্র। ইহার আকার কিরূপ ? তাহা এক্ষণে বোধগম্য হইবার নহে। বৈশম্পায়নোক্ত ধনুৰ্ব্বেদে ইহার গঠনপ্রণালী সম্বন্ধে যে একটি কবিতা আছে তাহা এই— ভিণ্ডিবালন্ত বক্রাঙ্গে নম্রশীর্ষোবৃহচ্ছিরীঃ । হস্তমাত্রোৎষেধযুক্তঃ করসম্মিতমণ্ডলঃ ॥” ভিত্তিবাল, ভিন্দিবাল, ভিন্দিপাল, এই তিন পাঠই দৃষ্ট হয়। ভিণ্ডিবাল বা ভিন্দিপাল নামক শস্ত্রের শবীবটী বঁকা, মাথাটা নোয়ান, মস্তকটা যেমন নম্র তেমনি শরীর অপেক্ষ বৃহৎ । ইহার উচ্চতা এক হস্ত অর্থাৎ হস্তপরিমিত লম্বা এবং করপরিমিত অর্থাৎ মুঠ কবিয়া ধরা যায় এরূপ ভাবের গোল গঠন। এই বর্ণনার দ্বারা অনুভব হয় যে, ভিন্দিপাল অক্সট আধুনিক সোটার স্তায় হইলেও হইতে পারে। এই শত্রুঘাতী আয়ুধ’কে পদাদি সৈন্তেরই ব্যবহার করিত। অনুন তিনবার যুবাইয়া ইহাকে ছুড়িয়া ফেলিহুে হয়। পত্রিভ্ৰামণং বিসর্গশ্চ বামপাদপুরঃসরম্ । 献 · পাদঘাতাৎ রিপুকনোধার্য্যঃ পাদ্যতমগুলৈঃ ” - অগ্নিপুরাণোক্ত ধনুৰ্ব্বেদে ভিন্দিপাল ব্যবহারের প্রণালী ইহা অপেক্ষ অস্ত রূপ লিখিত হইয়াছে। যথা—

  • সংশ্রান্তমথ বিশ্রান্তং বিসর্গং স্বর্ষেরম্। ভিন্সিপালস্ত কৰ্ম্মাণি লগুড়গু চতাস্তহপি ॥ শক্তি-এই অস্ত্রের আকার সম্বন্ধে যেরূপ বর্ণনা দৃষ্ট হয় তাহাও লিখিতেছি । ।