পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* রত্ন-রহস্য । মহোদধে সরিতি বা পৰ্ব্বতে কাননেইপি বা । তত্তদাকরতাং যাতং স্থানমাধেরগৌরবাৎ। তেষু রক্ষোবিষব্যালব্যাধিক্কান্তঘহানি চ । প্রাচুর্ভবস্তি রত্নানি তথৈব বিগুণানি চ । মহাপ্রভাবং বিবুধৈর্যন্মস্বজমুদাহৃতম্। বজ্ৰপূৰ্ব্ব পরীক্ষেয়ং ততোহুম্মাভিঃ প্রকীৰ্ত্তাতে ॥” হে ধষে ! রত্নসকলের পরীক্ষা বলতেছি শ্রবণ কর। বলনামে এক অম্বর ছিল । সে ইন্দ্রাদি দেবতাগণকে পরাজয় করিয়াছিল ; পরস্তু দেবতারা তাহাকে জয় করিতে সমর্থ হন নাই । অনস্তর দেবতার তাহাকে যজ্ঞীয় পশু হইবার অনুরোধ করায় সে আপনার পশুত্ব স্বীকার করিয়া হত হইল। সে আপনিই আপনার বাক্যে নিয়ন্ত্রিত হইয়া লোকের উপকার ও দেবতাদির হিতের জন্ত পশুর দ্যায় হাড়িকাঠে মস্তক দিয়াছিল। পরে সেই বিশ্বস্ত বলাসুরের অবয়ব সকল তদীয় শুভকৰ্ম্মের ফলে রত্নোৎপত্তির মূল কারণ হইয়া উঠিল । দেবতারা তাহার শরীর খণ্ড খণ্ড করিয়া কৰ্ত্তন করিলে পর সেই রত্নবীজ সকল যে যে স্থানে পতিত হইল,—কি মহাসমুদ্র, কি সরিৎ, কি পৰ্ব্বত, কি কানন, সৰ্ব্বত্রই তত্ত্বৎ স্থানে তত্ত্বৎ সেই অস্থিময় অধেয়ের অনুরূপ সেই সেই রত্ন সকল উৎপন্ন হইতে লাগিল । “তস্তাস্থিলেশো নিপপাত যে ভুব; প্রদেশেষু কথঞ্চিদেব। বজ্রাণি বজায়ূধনিজিগীষোভবাস্ত নানাকৃতিমন্তি তেযু ” সেই বলাসুরের অস্থির স্বল্প স্বক্ষ অংশ সকল পৃথিবীর যে যে স্থানে নিপতিত হইয়াছিল—সেই সেই প্রদেশেই নানা আকারের বজ্র বা হীরক সকল উৎপন্ন হইয়া থাকে। . কোন কোন পুরাণে লিখিত আছে যে, বিশ্বকৰ্ম্ম দধীচি মুনির অস্থি লইয় বঞ্জ নিৰ্ম্মাণ করিলে, তদবশিষ্ট অস্থিখণ্ড সকল মৃত্তিকায় পতিত থাকিয়া কালক্রমে হীরক উৎপাদন করিয়াছিল* ! আবার কোন ঋষি বলেন, তাহা নহে, উহা q * দন্ধ অস্থি বা কেবল অস্থি সংযুক্ত ভূ-বিশেষ হইতে হীরকের উৎপত্তিসম্বন্ধে কোন কাৰ্য্যকারণভাব আছে কিন, তাহ আমরা অনুভব করিতে পারি না । আধুনিক বিজ্ঞানবিদগণ বলেন যে, হীরক ক্ষাবিশেষ হইতেই জন্মে। প্রাচীন গির বলিবার ধরণ ছাড়ন এক্ষণকার অপেক্ষ २♚ ०